
ডাউনটাউন টরন্টোতে কর্মীদের ফুট ট্রাফিক এখনো মহামারি পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে লক্ষ্যণীয় মাত্রায় কম আছে। রিমোট ও হাইব্রিড কাজের কারণেই মূলত এ অবস্থা। একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে কানাডার অন্য বড় শহরগুলোতেও। এর ফলে দেশের ডাউনটাউনে কর্মীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
মহামারির কারণে কানাডার কর্মক্ষেত্র কীভাবে বদলে গেছে তা উঠে এসেছে কানাডিয়ান চেম্বার অব কমার্স পরিচালিত নতুন এক গবেষণায়। গবেষণার ফলাফল বলছে, কানাডার অনেক ডাউনটাউনে কর্মীদের ফুট ট্রাফিক ধীর গতিতে ফিরছে। যদিও অনেক ছোট ও মাঝারি শহরে কর্মীদের ফুট ট্রাফিক মহামারি-পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে বেড়ে গেছে।
টরন্টোর ডাউনটাউনের কর্মীদের আনাগোনা ২০২০ সালের তুলনায় ৪৬ শতাংশ কম ছিল। এছাড়া ভ্যানকুভারে কম ছিল ৪৮ শতাংশ এবং অটোয়াতে ৪৪ শতাংশ।
এদিকে অন্টারিওর ছোট শহরগুলোতে কর্মীদের আনাগোনা ২০২০ সালের তুলনায় বেড়েছে। যেমন ব্যারিতে বেড়েছে ২৯ শতাংশ এবং ব্র্যান্টফোর্ডে ৩৯ শতাংশ।
গবেষণায় বলা হয়েছে, মহামারির কারণে প্রথাগত হাবগুলো সংকুচিত হয়েছে। পক্ষান্তরে বাইরেরগুলো বর্ধিত হয়েছে।
ডাউনটাউন টরন্টোতে কর্মী মহামারি পূর্ববর্তী অবস্থায় না ফিরলেও সার্বিক পথচারির সংখ্যা বাড়ছে। গত মাসে থ্যাংকসগিভিং সপ্তাহে ডাউনটাউন টরন্টোর ইয়ং স্ট্রিট ধরে ৫ লাখের বেশি মানুষ হেটেছে, যা ব্যস্ত করিডোরে পথচারীর আনাগোনা মহামারি পূর্ববর্তী অবস্থায় ফেরার ইঙ্গিত।
বিধিনিষেধ শিথিল করায় ডাউনটাউন টরন্টোতে ওয়ার্কার অকুপেন্সিও মাসভিত্তিতে বাড়ছে।স্ট্র্যাটেজিক রিজিয়নাল রিসার্চ অ্যালায়েন্সের (এসআরআরএ) প্রকাশিত অকুপেন্সি সূচক অনুযায়ী, ১ নভেম্বর অকুপেন্সি হার ছিল ৩৬ শতাংশ, যা এপ্রিলের তুলনায় ২০ শতাংশ একং ফেব্রুয়ারির তুলনায় ১০ শতাংশ কম।