
হলিডে ভ্রমণ মৌসুম এগিয়ে আসছে। এ অবস্থায় গ্রীষ্মের ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে চায় না এয়ার কানাডা। ওই সময় ভ্রমণে ব্যাপক বিশৃক্সক্ষলার সৃষ্টি হয়।
গ্রীষ্মের মাসগুলোর পরিচালন চ্যালেঞ্জ থেকে মূল্যবান শিক্ষা পেয়েছে কোম্পানিটি। ভ্রমণ চাহিদা বাড়তে থাকায় ওই শিক্ষা বর্তমান পরিচালনায় তারা কাজে লাগাতে চায় বলে জানান কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল রুশো। গ্রীষ্মের শেষ দিকে কার্যক্রমে উন্নতি আনার পর এয়ারলাইন্সটি মহামারি-পূর্ববর্তী সময়ের মতো কার্যক্রম পরিচালনা করছে। একই সঙ্গে তারা কর্মী সংখ্যাও বাড়াচ্ছে। রুশো বলেন, কোনো ধরনের অসুবিধা হয়ে থাকলে সেজন্য আমরা দুঃখিত।
গ্রীষ্মে ফ্লাইট বাতিল ও বিমানবন্দরে জটের বিষয়টি এখনো মনে গেঁথে আছে বহু ভ্রমণকারীর। রুশো বলেন, যেসব গ্রাহক শীত ও হলিডের জন্য টিকেট বুকিং দিয়েছেন, তারা নিরাপদে ও নির্বিঘেœ গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের সামর্থ্যরে ওপর আস্থা রাখতে পারেন।
জুলাইজুড়ে ভ্রমণ বিশৃঙ্খলার পর আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটে, যা তৃতীয় প্রান্তিকে এয়ার কানাডাকে ১ কোটি ১৫ লাখ যাত্রী পরিবহনে সহায়তা করেছে। এর ফলে মহামারি শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো ধনাত্মক পরিচালন আয় হয়েছে।
এয়ার কানাডা বলেছে, তৃতীয় প্রান্তিকে তাদের ৬৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার পরিচালন আয় হয়েছে। ২০২১ সালের একই প্রান্তিকে যেখানে ৩৬ কোটি ৪০ লাখ ডলারে লোকসান হয়েছিল।
আরবিসি ডমিনিয়ন সিকিউরিটির বিশ্লেষক ওয়াল্টার স্প্র্যাকলিন বলেন, প্রান্তিকটিতে উচ্চ চাহিদার পাশাপাশি টিকেটের দামও বেশি ছিল, যা এয়ার কানাডার উচ্চ জ¦ালানি খরচ পুষিয়ে দিয়েছে।
এয়ার কানাডার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর সক্ষমতা এক বছর আগের তুলনায় ১৩০ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে ট্রাফিক বেড়েছে ২০২১ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের তুলনায় ১৭৯ দশমিক ৯ শতাংশ। সব মিলিয়ে তৃতীয় প্রান্তিকে এয়ার কানাডার নিট লোকসান হয়েছে ৫০ কোটি ৮০ লাখ ডলার। গত বছরের একই প্রান্তিকে নিট লোকসান ছিল যেখানে ৬৪ কোটি ডলার। ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে এয়ারলাইন্সটির শেয়ারপ্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৪২ ডলার। এক বছর আগের একই প্রান্তিকে যা ছিল ১ দশমিক ৭৯ ডলার। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে আকাশ পরিবহন সংস্থাটির মোট রাজস্ব দাঁড়িয়েছে ৫৩২ কোটি ডলার, ২০২১ সালের একই প্রান্তিকের তুলনায় যা ২১০ কোটি ডলার বেশি।