আটলান্টিক কানাডার উপকূলে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের ব্যবধানে দুটি গ্রেট হোয়াইট শার্কের মৃতদেহ ভেসে আসা গবেষকদের মধ্যে রহস্যের জন্ম দিয়েছে। ডালহৌসি ইউনিভার্সিটির ওশান ট্র্যাকিং নেটওয়ার্কের নির্বাহী পরিচালক ফ্রেড হোরিস্কি একে অস্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, আমার সারাজীবনে উত্তর আমেরিকায় মাত্র পাঁচটি হোয়াইট শার্কের মৃত্যুর বিষয়ে জানতে পেরেছি। সেদিক থেকে দেখলে এটা খুবই অস্বাভাবিক ঘটনা।
মেরিন অ্যানিমেল রেসপন্স সোসাইটি ২১ অক্টোবর এক ফেসবুক পোস্টে জানায়, আগের সপ্তাহে নিউ ব্রান্সউইকের কুচিবোগোয়াক ন্যাশনাল পার্কে একটি গ্রেট হোয়াইট শার্ক মারা গেছে। সংগঠনটি সামুদ্রিক প্রাণি নিয়ে গবেষণা এবং উদ্ধার ও তদন্তে সহায়তা করে থাকে।
৩ দশমিক ৪ মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি প্রাপ্ত বয়স্ক গ্রেট হোয়াইট সমুদ্র সৈকতে মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রজাতিটি নিয়ে গবেষণার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। হোরিস্কি বলেন, নর্থ সিডনিতে মারা যাওয়া দ্বিতীয় গ্রেট হোয়াইট শার্কটি অপেক্ষাকৃত তরুণ।
ফেডারেল স্পিসিস অ্যাট রিস্ক অ্যাক্ট অনুযায়ী, গ্রেট হোয়াইট শার্ক বিলুপ্তপ্রায় প্রাণি। এনভায়রনমেন্ট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, আটলান্টিকের জলে ঠিক কত সংখ্যক গ্রেট হোয়াইট শার্ক রয়েছে সে ব্যাপারে তথ্য নেই। ১৮৭৪ সাল থেকে আটলান্টিক উপকূলে প্রায় ১০০টি গ্রেট হোয়াইট শার্ক শনাক্ত করা গেছে। যদিও ২০০৯ সালের পর থেকে উপস্থিতি ৪০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
হোরিস্কি বলেন, খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে দুটি শার্কের মৃত্যু এই ইঙ্গিতই দিচ্ছে যে, প্রাণিটির সংখ্যা বাড়ছে। কানাডার জলসীমায় দেখা দেওয়া বেশিরভাগ শার্কই বয়সে তরুণ। এটাও শার্কের সংখ্যা বৃদ্ধির একটা ইঙ্গিত। আমরা হয়তো আরও ঘনঘন স্বাভাবিক মৃত্যু দেখতে পাবো। আটলান্টিক কানাডিয়ান জলসীমায় হোয়াইট শার্কের কোনো শিকারী নেই। সুতরাং, দুটি মৃত্যুই স্বাভাবিক কারণে ঘটেছে বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে, যা বেশ কৌতুহলোদ্দীপক।
তিনি বলেন, শার্কগুলোর চবি দেখে এটা বলা যাবে না যে, তারা জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বা জালে আটকে মারা গেছে। ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে তারা মারা যেতে পারে। কিন্তু সোজাসাপ্টা সেটা বলা যাবে না। কারণ, হোয়াইট শার্কের ক্ষেত্রে এ ধরনের রোগের বিজ্ঞানীদের মধ্যে ভালো ধারণা নেই।