একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাব বাবদ ৫ লাখ ডলারের বেশি খরচ করেছে ব্র্যাম্পটন সিটি। অথচ বিশ^বিদ্যালয়টি পরিকল্পনা পর্যায়ই পার হয়নি। আংশিক একটি ফরেন্সিক অডিটে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ফ্রোয়েস ফরেন্সিক পার্টনার্স লিমিটেড আংশিক নিরীক্ষাটি পরিচালন করে, যার একটি কপি সিটিভি নিউজের হাতে এসেছে। নিরীক্ষায় বলা হয়েছে, প্রস্তাবের জন্য বেছে নেওয়া প্রতিষ্ঠানটিকে প্রতিযোগীদের চেয়ে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ চিত্র নথিতে নেই এবং নিরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার আগেই সেটি বাতিল করা হয়েছে। ২৬ আগস্ট সিটি কাউন্সিলের ভোটাভুটিতে এটি বাতিল হয়ে যায়। মেয়র প্যাট্রিক ব্রাউন এ তদন্তকে উইচ হান্ট হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে নিরীক্ষা বাতিলের বিপক্ষে যেসব কাউন্সিলর ভোট দিয়েছেন তাদের দাবি, এটা শেষ না করলে তা হবে অর্থের অপচয়।
আংশিক নিরীক্ষায় ২৬ আগস্ট পর্যন্ত তদন্তের তথ্য রয়েছে এবং ভোটাভুটির কারণে এটিকেই চূড়ান্ত হিসেবে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
ব্র্যাম্পটন নিজেরাই একটি বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা বলে আসছে। প্রোগ্রেসিভ কনজার্ভেটিভ পার্টি সরকার গঠনের পর ২০১৮ সালে ৯ কোটি ডলার নিয়োগের একটি স্যাটেলাইট ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ বাতিল করে দেয়।
নিরীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের অনেক আগেই ব্র্যাম্পটনের কাউন্সিলর রোয়েনা স্যান্টোস এবং মেয়রের ঘনিষ্ঠ পরামর্শকরা বিশ্ববিদ্যালয়টির পরিকল্পনার জন্য কাজ শুরু করেন। ২০১৯ সালে স্যান্টোস ব্রাউনকে একটি ব্লগ পোস্ট পাঠান, যেখানে এই ধারণা দেওয়া হয় যে, ব্র্যাম্পটন এখনও নিজেরা একটি বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে পারে। ব্লগ পোস্ট লেখেন স্টেকহোল্ডার রিসার্চ অ্যাসোসিয়েটস কানাডা ইনকর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং অ্যাকডেমি ফর সাস্টেইনেবল ইনোভেশন কানাডা ইনকর্পোরেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড উইলার। হুইলারই শেষ পর্যন্ত ব্র্যাম্পটনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজটি পান।
এখানে লক্ষ্যণীয় যে, স্যান্টোস, হুইলার এবং পরামর্শক রড গডফ্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের আগেই নিরীক্ষাটি স্থগিত করে দেওয়া হয়। নিরীক্ষায় দেখা যায়, প্রস্তাবের শুরুতেই একটা স্বার্থের দ্বন্দ্ব ছিল। কারণ, হুইলার ছিলেন কাউন্সিলর স্যান্টোসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং পরামর্শক। প্রথম বৈঠকেই স্যান্টোস ব্লগ পোস্টটি উপস্থাপন করেন এবং ওই বৈঠকেই পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ দেওয়া হয়। তার আগে ২০১৯ সালের আগস্টে স্যান্টোস ব্র্যাম্পটনের তৎকালীন এথিকস অ্যান্ড ইন্টিগ্রিটি কমিশনারের মতামত নেন এবং এখানে কোনো স্বার্থের দ্বন্দ্ব নেই বলে তিনি জানিয়ে দেন।