
টিম হর্টন্স রেস্টুরেন্টে গোপন ক্যামেরার সন্ধান পেয়ে অন্টারিওর এক নারী কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছেন। এমিলি হ্যাসলার নামে হ্যামিল্টনের ওই বাসিন্দা সিটিভি নিউজ টরন্টোকে বলেন, ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে তার সিস্টার-ইন-ল ৩০ কুইন্সটন রোডে টিম হর্টন্সে ক্যামেরাটি দেখতে পান। এ সময় তার সন্তান তার সঙ্গে ছিল। ভাগ্নের বাথরুমের কাজ শেষ হলে আমার ভাবী তাকে পরিস্কার করে দিচ্ছিলেন। ঠিক ওই সময় তিনি এক কোণায় একটি ক্যামেরা লুকানো দেখতে পান।
নোংরার মধ্যে একটি ফোন রাখা ছিল। ফোনটি ব্যাটারি প্যাকের সঙ্গে অ্যাটাচ করা ছিল, যাতে করে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ক্যামেরাটি চালু রাখা যায়। ফেসবুকে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, টিম হর্টন্সের একটি খালি কাপে ফোনটি রাখা হয়েছে। তার ওপর রয়েছে টিস্যু পেপার।
হ্যাসলার বলেন, রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপককে বিষয়টি অবগত করা হয়। সিকিউরিটি ক্যামেরায় ডিভাইসটি নিয়ে একজন পুরুষকে বাথরুমে ঢুকতে দেখা যায়। পুরুষদের বাথরুমটি মেরামতের প্রয়োজনে বন্ধ ছিল। আমার ধারণা, পুরুষরা নারীদের বাথরুম ব্যবহারের সময় ওই ব্যক্তি চোখ এড়িয়ে বাথরুমটিতে ঢুকে পড়েন।
এ ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তারা বলছে, পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার সময় সেলফোনটিতে রেকর্ডিং চলছিল। প্রমাণ হিসেবে পুলিশ সেলফোনটি জব্দ করেছে।
হ্যামিল্টন পুলিশের কনস্টেবল ইন্ডি ভারাজ বলেন, এ ধরনের নাজুক স্থানে সেলফোন দেখতে পাওয়াটা যেকোনো ব্যক্তির জন্যই ভয়ের। এ ঘটনার তদন্ত চলছে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তদন্তের এ্ পর্যায়ে কোনো সন্দেহভাজনও নেই। এটা ঠিক নিয়ম লঙ্ঘনের মতো। এর ফলে আপনি কেবল বিরক্ত হবেন। স্ট্রিমিং হচ্ছিল কিনা আপনি তা জানেন না। তাহলে কি শুধু রেকর্ডিং হচ্ছিল? আমরা জানি না।