কুইবেকের কার্ডিনাল মার্ক আউলেটের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে এক নারী ক্লাস-অ্যাকশন মামলা করার পর প্রদেশের ক্যাথোলিক চার্চের সদস্যদের বিরুদ্ধে আরও অনেক নারী একই ধরনের অভিযোগ এনেছেন।
আউলেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর আর্কডিওসিস অব মন্ট্রিয়লের বিরুদ্ধে অন্তত তিনজন নারী যৌন হয়রানির আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এনেছেন। নগরীর আর্কডিওসিস বিষয়ক ন্যায়পাল ক্রিস্টিন কিরোয়াক এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন।কার্ডিনালের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর কিরোয়াকের কাছে নারীদের কাছ থেকে অসংখ্য ফোন আসছে। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক নারীর অভিযোগ চার্চের বিরুদ্ধে অভিযোগের সাধারণ যে ধরণ তা ভেঙে দিয়েছে। কার্ডিনালদের বিরুদ্ধে সাধারণত বালকদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠে থাকে। কিরোয়াক বলেন, তাদের মধ্যে একজন আমাকে বলেন যে, গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়ার পর সেটা যে আমি তা চিনতে পারি এবং এর নিন্দা জানাতে চাই। অন্যদের সামনেও এটা সাহস নিয়ে এগিয়ে আসার সুযোগ করে দিতে পারে। এটা যে গুরুতর আমরা সেটা দেখছি।
ক্লাস অ্যাকশন মামলার জন্য মন্ট্রিয়লভিত্তিক ল ফার্ম আর্সেনল্ট ডাফ্রেন উই আভোক্যাটস দুটি আবেদন জমা দিয়েছে। কুইবেকের একজন বিচারক সম্প্রতি দুটি মামলার অনুমতি দিয়েছে এবং এর একটিতে একজন নারীর জবানবন্দি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এক সময় পোপ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকা ওই কার্ডিনালের ২০০৮ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে যৌন হয়রানির একাধিক অভিযোগ আনেন ওই নারী। পিঠে হাত দেওয়া এবং কুইবেক সিটির একটি অনুষ্ঠানে তার নিতম্ব স্পর্শ করা এর মধ্যে অন্যতম। ওই কার্ডিনাল কুইবেকের আর্চবিশপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। আর ২৩ বছর বয়সী ওই নারী কুইবেক আর্কডিওসিসে প্যাস্টরাল ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করছিলেন।
আইনজীবী জাস্টিন উই বলেন, আমার ফার্মের ক্লাস অ্যাকশন মামলায় এটা দেখিয়েছি যে, বালকরাই কেবল পাদ্রিদের যৌন হয়রানির শিকার হয় না, প্রাপ্ত বয়স্ক নারীরাও তাদের দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন।
প্রথম মামলায় ১০১ জন ভুক্তভোগী ৮৮ জন পাদ্রি ও ডিওসিসান কর্মীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন। অভিযুক্তের তালিকায় আউলেটের নামও রয়েছে। যৌন হয়রানির শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে প্রাপ্ত বয়স্ক নারী রয়েছেন ১৯ জন।
অনেকেই বলছেন, আউলেটের যৌন হয়রানির শিকার ব্যক্তি প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় প্রাপ্ত আরও অনেককেই চার্চের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করবে।