
অন্টারিওর ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলুর শিক্ষার্থী মেগান হাইন্স পঞ্চম বর্ষের আগে ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্টে উঠতে পারলে তা হবে তার জন্য বিরাট স্বস্তির। কয়েক মাস খোঁজার পর বায়োলজির চতুর্থ বর্ষের এই শিক্ষার্থী শেষ পর্যন্ত জুলাইয়ের মাঝামাঝি নাগাদ ভেবেছিলেন একটি জায়গা অন্তত খুঁজে পাওয়া গেলো। কিন্তু অর্থ জমা ও চুক্তি স্বাক্ষরের পর জানতে পারলেন বাড়ির মালিক অনেক বেশি ভাড়াটিয়াকে নিয়ে ফেলেছেন।
হাইন্স আবার খোঁজাখুজিতে নেমে পড়লেন। কিন্তু এবার ভাড়া বাজার আরও উত্তপ্ত দেখতে পেলেন। বাধ্য হয়ে একই বাড়ি মালিকের একটি অগোছালো বাড়িতে মাসিক ১০০ ডলারের কিছু বেশি ভাড়ায় থাকার বন্দোবস্ত করলেন।
তিনি বলছিলেন, এটা ছাড়া আমার সামনে আর কোনো বিকল্প ছিল না। এর ফলে আমাকে বাড়তি শিফটে কাজ করতে হচ্ছে। এটা খুব চাপের।
বাড়ি ভাড়া যে বাড়ছে, হাইন্সের অভিজ্ঞতাটি তার একটি ইঙ্গিত। এর পেছনের কারণগুলোর অন্যতম হলো অভিবাসনের হার বেড়ে যাওয়া এবং কাজের জন্য কর্মীদের নগরীর কেন্দ্রস্থলে ফিরে আসা। এছাড়া বাড়ি বিক্রি কমে যাওয়ায় কিছু বিক্রেতা তাদের বাড়ি ভাড়া দেওয়ার পথ বেছে নিয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের সেপ্টেম্বরে স্কুলে ফেরারও একটা সম্পর্ক রয়েছে এর সঙ্গে। এর অর্থ হলো প্রথম বর্ষ ও তার উপরের শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছেন।
হাইন্স বলেন, প্রত্যেকের মধ্যেই ভাড়া নেওয়া নিয়ে তাড়াহুড়া কাজ করছে। ওয়াটারলুতে আমার এক বন্ধু মাসে ৯৮০ ডলার ভাড়া পরিশোধ করছেন, যার সত্যিই কোনো মানে হয় না। কিন্তু প্রত্যেকেই সামনে যা পাচ্ছেন তা নিয়ে নিচ্ছেন, তা সে যত ব্যয়বহুলই হোক না কেন।
আরবানেশনের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় টরন্টোতে টানা দ্বিতীয় প্রান্তিকে বাড়ি খালি থাকার হার কমে যাওয়ার তথ্য দিয়েছে। এতে বাড়ি ভাড়া রেকর্ড বেড়ে ২ হাজার ৫৩৩ ডলারে পৌঁছেছে। এ হিসাবে প্রতি বর্গফুটের ভাড়া ৩ দশমিক ৫৭ ডলার থেকে বেড়ে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৫ দশমিক ৯ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
রেন্টালসডটসিএর তথ্য অনুযায়ী, জুলাইয়ে কানাডায় বাড়ি ভাড়া ছিল গড়ে ১ হাজার ৯৩৪ ডলার, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ১০ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি এবং ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের তুলনায় মাত্র ২০ ডলার কম। ওই সময় কানাডায় মাসিক বাড়ি ভাড়া ছিল গড়ে ১ হাজার ৯৫৪ ডলার।