সৌদি বংশোদ্ভুত এক কানাডিয়ানকে আইসিসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। মার্কিন প্রসিকিউটররা ওই ব্যক্তিকে আইসিসের একজন সক্রিয় প্রচারক হিসেবে উল্লেখ করেন।
রায়ের আগে আদালতে দাখিল করা নথিতে প্রসিকিউটররা বলেন, মোহাম্মদ খলিফা আইসিসের একজন উল্লেখযোগ্য সদস্য ছিলেন।
মার্কিন বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, খলিফা দুই সিরীয় সৈন্যকে হত্যা করেছে এবং আইসিসিসের তৈরি প্রায় ১৫টি ভিডিওতে কণ্ঠ দিয়েছে ও অনুবাদ করেছে। ভিডিওগুলোতে আইসিস ও এর যোদ্ধাদের তুলে ধরা হয়েছে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আইসিসের আক্রমণ ও নিরস্ত্র বন্দিদের হত্যার চিত্রও দেখানো হয়েছে ভিডিওগুলোতে।
৩৯ বছর বয়সী আইটি কর্মী খলিফার বেড়ে ওঠা টরন্টোতে এবং ২০১৩ সালে সিরিয়ার উদ্দেশে কানাডা ত্যাগ করে। সেখানে সে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এবং তার ইংরেজি ভাষার দক্ষতা আইসিসের হত্যার ভিডিওগুলোর ধারা বর্ণনায় কাজে লাগায়।
২০১৪ সালে তৈরি ‘ফ্লেমস অব ওয়ার’ শীর্ষক এক ভিডিওতে তাকে সিরীয়দের নিজের কবর খোড়াতে ও পিছমোড়া করে বাঁধা লোকদের গুলি করতে দেখা যায়। ২০১৭ সালে তৈরি ‘ফ্লেমস অব ওয়ার ২’ শীর্ষখ আরেকটি ভিডিওতেও তাকে একই কাজ করতে দেখা যায়। ২০১৯ সালের ১৩ জানুয়ারি সে সরিয়িার উত্তরপূর্বাঞ্চলে মার্কিন সমর্থনপুষ্ট কুর্দি যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। কিন্তু তার একে-৪৭ রাইফেল কাজ না করায় ধরা পড়ে সে। খলিফার বিষয়টি সে সময় রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ তদন্ত করলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাকে নিজেদের কব্জায় নেয় এবং বিচারের মুখোমুখি করতে ওয়াশিংটন ডিসিতে উড়িয়ে নিয়ে যায়। ১০ ডিসেম্বর সে দোষ স্বীকার করে। খলিফা ওই সময় আইসিসের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিল বলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
২০১৪ সালের ১৯ আগস্ট থেকে ২০১৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আইসিস সিরিয়ায় আটজন মার্কিনী, ব্রিটিশ ও জাপানিজ নাগরিককে হত্যা করেছে।