চলতি বছরে প্রথমবারের মতো জুনে কর্মসংস্থান হারিয়েছে কানাডার অর্থনীতি
চলতি বছরে প্রথমবারের মতো জুনে কর্মসংস্থান হারিয়েছে কানাডার অর্থনীতি। যদিও বেকারত্বের হার আবারও হ্রাস পাওয়ায় ও মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় শ্রমবাজার বেশ আঁটোসাঁটো অবস্থায় রয়েছে।
স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা পরিচালিত শ্রমশক্তি জরিপের তথ্য অনুযায়ী, কানাডা জুন মাসে ৪৩ হাজার কর্মসংস্থান হারিয়েছে। তবে বেকারত্বের হার ৪ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে, ১৯৭৬ সালে তুলনামূলক উপাত্ত সংগ্রহ শুরু হওয়ার পর থেকে যা সর্বনি¤œ। গত মে মাসে কানাডায় বেকারত্বের হার ছিল ৫ দশমিক ১ শতাংশ।
জুনে বেকারত্বের হার কমার কারণ মূলত স্বল্প সংখ্যক লোকের চাকরি খোঁজা। স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা বলছে, স্বকর্মসংস্থান ৫৯ হাজার কমাও চাকরি কমার একটি কারণ। শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার হ্রাস পাওয়ায় শ্রমিক সংকট নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের উদ্বেগ বেড়েছে। মার্ক কিচিং নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, দুই থেকে তিনজন বাড়িতে কিচেন স্টাফ নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু আবেদন পাচ্ছেন না। আমার শিল্পের অন্যদের সঙ্গেও আমি কথা বলেছি একং সবারই একই সমস্যা।
ওয়ালডোতে পদ শূন্য থাকার অর্থ হলো বাকি কর্মীদের ওভারটাইম করতে হবে, যা ব্যয় বাড়িয়ে দেবে এবং প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কঠিন হবে।
ব্যাংক অব মন্ট্রিয়লের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ রবার্ট কাভসিস বলেন, চাকরি বাজার এখনও বেশ শক্তিশালী। জুনে মজুরি বৃদ্ধির হারও ছিল সবচেয়ে বেশি। মাসটিতে বছরওয়ারি ঘণ্টাপ্রতি মজুরি ৫ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ৩১ দশমিক ২৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। আগের মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল কম এবং বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। বর্তমান হার অর্থনীতির ভালো অবস্থা নির্দেশ করছে।
১৯৯৮ সাল থেকে তুলনামূলক উপাত্ত সংগ্রহ শুরু হওয়ার পর জুনে মজুরি বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। তারপরও মাসটিতে মজুরি বৃদ্ধির হার মে মাসের মূল্যস্ফীতির হারের নিচে রয়েছে। ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক ফ্যাবিয়ান ল্যাঙ্গ বলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মী পেতে হিমশিম খাওয়ায় মজুরি হতে হবে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। শ্রম বাজারের আঁটোসাঁটো অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে বলা যায়, মজুরি বৃদ্ধি জরুরি।
মজুরি বৃদ্ধিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন ইউনিয়ন বহির্ভুত কর্মীরা। তাদের মজুরি বেড়েছে ৬ দশমিক ১ শতাংশ। যেখানে ইউনিভুক্ত কর্মীদের মজুরি বেড়েছে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ।