
যখন মুদ্রাস্ফীতির কারণে বেতনে কুলোচ্ছিলো না এবং বর্ধিত সুদ অর্থনেতিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে, তখন এই নতুন গবেষণাটি কানাডার পারিবারিক অর্থনৈতিক অবস্থার অন্ধকারাচ্ছন্ন দিকটি ফুটিয়ে তুলছে।
বুধবারে প্রকাশিত হওয়া দেসজার্ডিনস স্টাডি বলছে যে, আসন্ন মাসগুলো গৃহস্থালির বাজেটের জন্য বন্ধুর হতে যাচ্ছে, যেহেতু প্যান্ডেমিক রিকভারী কার্যক্রমে ইতোমধ্যেই ফাটল দেখা দিয়েছে।
মূল্যমানের সম্পদগুলো ঝুঁকিতে আছে এবং কানাডিয়ান গৃহস্থালিগুলোর দেনা বাড়ছেই যা সম্পদের দৃষ্টুভঙ্গিতে একদমই শূণ্যের কোঠায়, স্টাডি জানাচ্ছে।
“এই অস্বাভাবিক অর্থনৈতিক সাইকেলের সমাপ্তির পর সত্যিকার অর্থে কানাডিয়ান গৃহস্থালিগুলোর জমানো সম্পদগুলো চুপসে যাবার মত অবস্থা হয়ে যাবে”, স্টাডিটি জানায়।
যদিও এর সীমা এখনো অনিশ্চিত এবং কতটা সুবিধাজনকভাবে এই আর্থিক দুরবস্থা ব্যাঙ্ক অব কানাডা সামলাতে পারে, সেটার উপর নির্ভর করবে এই অবস্থার সমাপ্তি, দেসজার্ডিনস জানায়।
এদিকে, সরকারি সাহায্য কর্মসূচির দরুণ যখন খরচ বৃদ্ধির সাথে সাথে সঞ্চয়ের হার ধীরে ধীরে কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে, তখন কিছু পরিবার ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বলে গবেষণায় বলা হয়েছে।
সমীক্ষাটি বলছে যে, উচ্চ ঋণের মাত্রা এবং ক্রমবর্ধমান সুদের হার ভোক্তাদের অস্বচ্ছলতা বাড়াবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে, যার চাপ পড়বে নিম্ন আয় এবং ঋণগ্রস্ত কানাডিয়ানদের উপর।
তবুও, গবেষণায় দেখা গেছে কানাডিয়ানদের চাকরি এখনো বহাল তবিয়তেই আছে এবং শ্রমসাধ্য বেতনও অব্যাহত রয়েছে।
“সৌভাগ্যবশত, মুদ্রাস্ফীতির গতি হ্রাস করা গেলে আয়ের বৃদ্ধি আগের মত শক্তিশালী থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে,” সমীক্ষায় বলা হয়েছে।
গবেষণা অনুসারে, উচ্চ মজুরি জারি থাকলে এবং মূল্যস্ফীতি স্বাভাবিক স্তরে চলে আসলে ঋণের অস্বচ্ছলতা এবং ভোক্তাদের দেউলিয়া রোধে তা সহায়ক হবে।
এদিকে, ২০২২ সালে একটি দারুণ শুরুর পর আগামী মাসগুলো থেকে ভোক্তা ব্যয় ও ব্যবহারের হার কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অর্থনীতি পুনরায় চালু হবার পর পরিষেবাগুলোতে ব্যয়ের সমতলকরণ এবং সেইসাথে পণ্য ব্যবহারে উচ্চমূল্যের প্রভাব, উভয় কারণেই এই মন্থরতা।
উপরন্তু, স্টাডিটি আরো জানিয়েছে যে, ঋণ পরিসেবা ব্যয়, যা মহামারী চলাকালীন হ্রাস পেয়েছিল, সেটি সুদের হার বৃদ্ধির সাথে সাথে ধীরে ধীরে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।