
আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ২২ জুনের ভূমিকম্পে অন্তত এক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে দেড় হাজারের মতো মানুষ। এই ঘটনা বিপর্যস্ত করে তুলেছে গ্রেটার টরন্টো এরিয়ার আফগানদের।
৫ দশমিক ৯ মাত্রার ওই ভূমিকম্প আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় পাটিকা, খোস্ত ও নানগারহার প্রদেশে আঘাত হানে। এগুলো পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী প্রদেশ। এই অঞ্চলে গত কয়েক দশকের মধ্যে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগ।
স্থানীয় আফগান উদ্যোক্তা ও সাংবাদিক নাসির খালিদ বলেন, জিটিএতে আফগান কমিউনিটিতে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার সদস্য রয়েছেন। বাড়ি থেকে আসা ভূমিকম্পের খবর শুনে তাদের সবাই মুষড়ে পড়েছেন। যা ঘটেছে তাতে আমরা সবাই খুব বিধ্বস্ত। আমার কাছে আফগানিস্তানের প্রত্যেকেই আমার পরিবারের সদস্য এবং তাদের যাই ঘটুক আমাকে তা ছুঁয়ে যায়। এটা বিরাট ক্ষতি। এটা বিরাট বিপর্যয়। কে কমারা গেছেন, কে আহত হয়েছেন আর কে বেঁচে আছেন কেউ জানে না। প্রত্যেকেই তাদের পরিবার নিয়ে উদ্বিগ্ন।
উদ্ধারে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও অভিজ্ঞতা তালেবানদের না থাকায় জিটিএর প্রত্যেকেই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তাদের স্বজনদের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। পরিস্থিতি সত্যিই খুব খারাপ।
আফগান উইমেন’স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আসমা ফাইজি বলেন, এমন এক সময় এই বিপর্যয় এলো যখন আমার মাতৃভূমি গভীর ঝঞ্ঝার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই ভূমিকম্প আমাদের লোকেদের জন্য বিপর্যয়কর।
ইটোবিকোকভিত্তিক আফগান মুসিলম ইমিগ্র্যান্ট এইডের প্রেসিডেন্ট ইমাম মোহাম্মদ নূরী ভূমিকম্পে যারা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।