
গ্রেটার টরন্টো এরিয়াতে গত জানুয়ারিতে বড় ধরনের তুষার ঝড়ের পর ৫০ সেন্টিমিটার পুরু বরফ সরাতে মিসিসাগা সিটির খরচ হয়েছে পায় ২০ লাখ ডলার। সিটি কাউন্সিলের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
তুষার ঝড়টি ১৬ ও ১১৭ জানুয়ারি হয় এবং ১৮ ঘণ্টায় প্রায় ৪৫ সেন্টিমিটার তুষার পড়ে। নগরীর পরিবহন কমিশনারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তুষারপাত নগরীকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে দেয় এবং আর্থিক ক্ষতি হয় প্রায় ১১৮ লাখ ডলার।
সিটি কর্তৃপক্ষ বলছে, বেশিরভাগ সময়ই কারগুলো রাস্তায় পার্ক করে রাখতে হয়, যার ফলে রাস্তা পরিচ্ছন্নে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। কারণ, রাস্তাগুলো সঠিকভাবে পরিচ্ছন্ন করতে ক্রুদের একাধিকবার সেখানে যেতে হয়।
রাতারাতি প্লাউ চালক সরবরাহে ঠিকাদারদের অসামর্থ্যরে বিষয়টি সিটি কতপক্ষ তাদের প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে। এর ফলে বরফ অপসারণে বাড়তি চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর অর্থ হচ্ছে হাইওয়ে ট্রাফিক আইন অনুযায়ী পয়োজনীয় আট ঘণ্টার বিরতি শেষে চালক কাজে ফেরা পর্যন্ত যন্ত্রপাতিগুলোকে আট ঘণ্টা অলস ফেলে রাখতে হয়। চালক প্রতিস্থাপন সম্ভব না হওয়ায় সেবাটি ২৪ ঘণ্টা পযন্ত বিলম্বিত হয়েছে।
বরফ অপসারণসহ জানুয়ারির এই তুষার ঝড়ে নগরীর খরচ হয়েছে পায় ১৮ লাখ ডলার। টরন্টো সিটিও গত মার্চে একইরকম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। প্রতিবেদনে তারা সড়ক, সাইডওয়াক, বাইসাইকেল পথ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টন বরফ অপসারণে ১ কোটি ৭০ লাখ ডলারের বেশি ব্যয়ের কথা জানায়। এটা বার্র্র্ষিক উইন্টার মেইন্টেনান্স বাজেটের ২০ শতাংশের বেশি।
সময়মত স্নো পরিস্কারে আরও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। তাৎক্ষণিক জরুরি সেবার প্রয়োজনীয়তা, টিটিসির যানবাহনগুলো বের করে আনা, যন্ত্রপাতির স্বল্পতা, অবকাঠাামো ও সম্পদের ক্ষতি রোধে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে তুষার অপসারণ এর মধ্যে অন্যতম।
ঝড়ের কারণে আটকে পড়া টিটিসির ৫০০ বাস সচল করতে ব্যাপক জনবল ও সম্পদ মোতায়েেেনর প্রয়োজন পড়ে। এছাড়া ৩১১ জনকে আবহাওয়া সংক্রান্ত ৬২ হাজার কল গ্রহণ করতে হয়।