
পার্কের এনকাম্পমেন্টগুলো দখলমুক্ত রাখার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে টরন্টোর কিছু পার্কে ২৪ ঘণ্টা বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীদের পাহারা দেখা যেতে পারে। আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এ ব্যাপারে প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে বলে সিপি২৪কে নিশ্চিত করেছেন সিটির একজন মুখপাত্র ব্র্যাড রস।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তা প্রহরীরা পার্ককে নিরাপদ ও সরবার জন্য প্রবেশযোগ্যতা নিশ্চিত করবেন। সেই সঙ্গে আউটডোর বিনোদন কেন্দ্র হিসেবেও এর ব্যবহার নিশ্চিত করবেন তারা। চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তা প্রহরীরা গুরুত্বপূর্ণ পার্কগুলো ২৪ ঘণ্টাই পাহারা দেবেন। সেই সঙ্গে পার্কে অবৈধ কোনো তাঁবু ও অবকাঠামো গড়ে উঠলে সিটি কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক তা অবহিত করবেন।
পার্কে ক্যাম্পিং যে অস্বাস্থ্যকর এবং অবৈধ রস তার বিবৃতিতে তা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, গৃহহীণ মানুষদের জন্য সিটি কর্তৃপক্ষ ইনডোরে থাকা ও সেবার ব্যবস্থা করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
সিটি কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ট্রিনিটি-বেলউডস পার্ক, আলেক্সান্দ্রা পার্ক ও ল্যাম্পোর্ট স্টেডিয়াম পার্কে নিরাপত্তা প্রহরী মোতায়েন করা হবে। এই পার্কগুলো থেকে গত বছর এনক্যাম্পমেন্ট অপসারণ করে সিটি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ডাফেরিন গ্রোবেও বাড়তি নিরাপত্তা প্রহরী দেখা যাবে বলে সিটি কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
বাড়তি নিরাপত্তা প্রহরীর পাশাপাশি অন্যান্য পার্কে নিরাপত্তা কর্মীও থাকবেন। তাদের কাজ হবে পার্কগুলোকে নিরাপদ রাখা ও কোনো ধরনের এনক্যাম্পমেন্ট নির্মাণ প্রতিহত করা। তবে প্রকল্পটিতে ঠিক কি পরিমাণ ব্যয় হবে সে ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।
এনক্যাম্পমেন্ট নির্মাণ বন্ধে সিটি কর্তৃপক্ষের বেসরকারি নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। কর্মীদের অংশ হিসেবে ২০২১ সালের এপ্রিে বেসরকারি নিরাপত্তা
প্রহরী নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তারা ডাউনটাউন পার্কে অনুপ্রবেশ বন্ধে ও গৃহহীণদের এনক্যাম্পমেন্ট অপসারণে নোটিশ সরবরাহ করেছিল। এনক্যাম্পমেন্ট অপসারণকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সহিংস ঘটনা ঘটেছিল।
এ মাসের গোড়ার দিকে অভ্যন্তরীণ এক নথিতে দেখা যায়, ট্রিনিটি-বেলউডস পার্ক থেকে অবৈধ এনক্যাম্পমেন্ট অপসারণের পরিকল্পনা করতে সিটি কর্তৃপক্ষ কয়েক মাস ব্যয় করে। এনক্যাম্পমেন্ট অপসারণ ও পার্কের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে প্রায় ২০ লাখ ডলার ব্যয় করে সিটি কর্তৃপক্ষ।
সি্িট কর্তৃপক্ষের এ উদ্যোগ সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন ডগ জনসন হাটলেম নামে একজন স্ট্রিট প্যাস্টর। তিনি বলেন, সাশ্রয়ী আবাসনের ব্যাপারে স্থানীয় কর্মকর্তারা যে কিছু করতে চান না এটা তার নির্দশন।