
মূল্যস্ফীতির সঙ্গে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় খরচ কমিয়ে আনার কথা ভাবছেন অধিকাংশ কানাডিয়ান। লেজার পরিচালিত সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সমীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রতি পাঁচজনের চারজনই খাদ্য বাবদ ব্যয় কমাতে মুদি দোকানের তুলনামূলক সাশ্রয়ী পণ্যটি ক্রয়ের পরিকল্পনা করছেন বা ক্রয় শুরু করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। গৃহস্থলী সামগ্রী ক্রয় বাবদ ব্যয় কমানোর পাশাপাশি স্থানীয় রেস্তোরাঁতে কম যাবেন বলে জানিয়েছেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া তিন-চতুর্থাংশ কানাডিয়ান।
গ্যাসোলিনের দাম বাড়ায় প্রতি দুইজনের একজন এরইমধ্যে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন। নিকট ভবিষ্যতে একই পদক্ষেপের কথা ভাবছেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রতি পাঁচজনের একজন।
সার্বিকভাবে চার-পঞ্চমাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, মূল্যস্ফীতি তাদের জীবনযাত্রায় মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। মূল্যস্ফীতির হার আরও বাড়বে বলে মনে করায় আর্থিক অবস্থা আগামীতে আরও খারাপ হবে।
১১ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত ১ হাজার ৫১৫ জন প্রাপ্ত বয়স্ক কানাডিয়ানের ওপর সমীক্ষাটি চালানো হয়।
স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা তাদের প্রতিবেদনে ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে। গত ৩১ বছরে ভোক্তা মূল্যসূচকের এতো উচ্চ হার আর দেখা যায়নি। রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার ফলে বৈশি^ক জ¦ালানি তেল ও গমের দাম বেড়ে যাওয়ায় মার্চে মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশে উন্নীত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লেজারের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান বোর্ক বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির চেয়ে কানাডিয়ানদের কাছে এখন বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে মূল্যস্ফীতি ও ইউক্রেন সংকট।
আরবিসি ইকোনমিকস এক হিসাবে দেখিয়েছে, জ¦ালানির উচ্চমূল্য কানাডিয়ানদের গৃহস্থালী ব্যয় বছরে ৬০০ ডলার বাড়িয়ে দেবে। এতে সার্বিকভাবে ব্যয় বাড়বে এক হাজার কোটি ডলার। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে নি¤œ আয়ের পরিবারগুলো, যারা তাদের আয়ের বড় অংশই ব্যয় করে খাদ্য ও জ¦ালানিবাবদ। বর্ধিত ব্যয় এড়ানোরও উপায় নেই তাদের।
এদিকে সুদের হার বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছে সমীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন কানাডিয়ান। এর মধ্যে প্রতি তিনজনের একজনের ধারণা, পরবর্তী ছয় মাসে সুদের হার বাড়বে লক্ষ্যণীয়। সুদের হার বৃদ্ধির ফলে পরিবারের ব্যয় ব্যবস্থাপনা করা কঠিন হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া দুই-তৃতীয়াংশ কানাডিয়ান।