
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত টরন্টো এলাকার স্কুল ইয়র্ক মেমোরিয়াল কলেজিয়েট ইনস্টিটিউটে অতিরিক্ত ভবন নির্মাণে ১ কোটি ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করছে অন্টারিও। দুই বছরের বেশি সময় আগে ৬-অ্যালার্ম আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্কুলটি।
শিক্ষামন্ত্রী স্টিফেন লেচি শুক্রবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তহবিলের এ ঘোষণা দেন। এই তহবিল বাড়তি ভবন নির্মাণের পাশাপাশি স্কুলের আধুনিকায়নে ব্যয় করা হবে। তবে সংস্কার-সংক্রান্ত কোনো কাজে তহবিলের জোগান দেবে টরন্টো ডিস্ট্রিক্ট স্কুল বোর্ড (টিডিএসবি)।
লেচি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, স্কুলটি চালুর জন্য আধুনিকায়ন ওও উন্নয়নের জন্য স্কুল বোর্ডের পরিকল্পনার পাশাপাশি প্রদেশের বিনিয়োগ নতুন করে ৩৬৮ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ করে দেবে। এর ফলে স্কুলে মোট ১ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থীর শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ তৈরি হবে।
কিল স্ট্রিট ও ইগলিনটন এভিনিউয়ের কাছে স্কুলটিতে আগুন লাগে ২০১৯ সালের ৮ মে দুপুর ২টায়। ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর কয়েক ঘণ্টা পর ভবন থেকে আবারও ধোঁয়া ও আগুনে শিখা দেখা যায়। সকাল ১০টার দিকে আগুনের তীব্রতা বেড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলে ১৫০ জন দমকল কর্মেিক মোতায়েন করতে হয়। কর্মকর্তারা সে সময় বলেন, আগুনে বড় অংশই অডিটোরিয়ামে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু অতিরিক্ত পানি ও ধোয়ার কারণে ৯০ বছরের পুরনো ভবনটির বড় ধরনের ক্ষতি হয়। ২০১৯ সালের আগস্টে এ অগ্নিকা-কে দুর্ঘটনা বলে রায়র দেওয়া হয়। যদিও আগুনে উৎস চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি বলে জানান কর্মকর্তারা।
স্কুল ভবন সংস্কারে ঠিক কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হবে জানতে চাইলে টিডিএসবির পক্ষ থেকে সোমবার জানানো হয়, মোট পরিমাণ এখনও হিসাব করা হয়নি।
অগ্নিকান্ডের পর স্কুলটির প্রায় ৮৮০ শিক্ষার্থীকে ইগলিনটন এভিনিউ ও কিল স্ট্রিটের কাছে জর্জ হার্ভি কলেজিয়েট ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। এরপর রয়্যাল ইয়র্ক রোড ও ইগলিনটন এভিনিউয়ের কাছে সাবেক স্কারলেট হাইটস এন্ট্রাপ্রেনিউরিয়াল অ্যাকাডেমিতে তাদের থিতু করা হয়। তবে লজিস্টিকস কারণে সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের জর্জ হার্ভিতে ফিরিয়ে আনতে হবে বলে জানিয়েছে টিডিএসবি।
সরকারের অর্থায়নের ঘোষণার ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে কিছু শিক্ষার্থী সিটিভি নিউজ টরন্টোকে তাদের সন্তোষের কথা জানায়। তবে কিছু শিক্ষার্থী অন্যত্র স্থানান্তরে উদ্বেগ প্রকাশ করে। একজন শিক্ষার্থী বলে, আমরা সব কিছু প্রস্তুত করে ফেলেছি এবং জর্জ হার্ভিতে ফেরত যাওয়াট ভালো নয়।
স্কুলটি ২০২৬ সালের মধ্যে খুলে দেওয়া সম্ভব হবে লে আশা করছে টিডিএসবি।