অটোয়ার একটি স্যুপ কিচেনের এক কর্মীকে বিক্ষোভকারীরা হেনস্থা করার পর ওই কর্মীকে সমর্থন জানিয়ে বার্তা ও অনুদান আসছে বলে জানিয়েছেন শেফার্ডস অব গুড হোপের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দিয়াদ্রে ফ্রেইহেইট। তিনি বলেন, রাজধানীর ডাউনটাউনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ ও লিবারেল সরকারের বিরুদ্ধে সমাবেশে সামাজিক সেবায় বিঘœ ঘটার পাশাপাশি রাস্তাগুলো আটকে যায়। কিছু বিক্ষোভকারীকে শনিবার স্যুপ কিচেনে দেখা যায় এবং খাবার চেয়ে কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীদের মৌখিকভাবে হেনস্থা করেন তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে কিছু বিক্ষোভকারীকে খাবার সরবরাহ করাও হয়।
গ্লোবাল নিউজের কাছে ইমেইলে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীরা একজন গ্রাহককেও মারধর করেন। একজন নিরাপত্তারক্ষী এ সময় ওই ব্যক্তিকে সাহায্য করতে গেলে তাকে উদ্দেশ্য করে বর্ণবৈষম্যমূলক মন্তব্য ছুড়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বিক্ষোভ নিয়ে কোনো মন্তব্য করার ইচ্ছা শেফার্ডস অব গুড হোপের ছিল না। তবে এটান নিয়ে যে ধরনের ভুল তথ্য ছাড়াচ্ছে তা সংশোধন করা প্রয়োজন বলে আমাদের মনে হয়েছে।
শেফার্ডস অব গুড হোপ অভাবী মানুষদের প্রতিদিন ৪০০ মিল সরবরাহ করে থাকে এবং মহামারির কারণে সবাইকে সুরক্ষিত রাখতে তারা ৩০ জনের গুপ করে তাদের কাছে পৌঁছায়। তাই এ ঘটনা তাদের কাজে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ট্রাক থেকে আসা বিরামহীন আওয়াজ তাদের কর্মী, স্বেচ্ছাসেবী ও আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের উদ্বিগ্ন করে তোলে। এর ফলে একজন কর্মীকে দিনে অনেকবার কাজে বিরতি নিতে হয়। আশ্রয়স্থলের বাসিন্দাদের মধ্যেও মানসিক স্বাস্থ্যে অবনতি দেখা গেছে।
ফ্রেইহেইট বলেন, দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদেরকে এখন অনেকগুলো চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। মাদক সমস্য তো চলছেই। সেই সঙ্গে মহামারিও এখনও যায়নি এবং আমাদের আবাসন সমস্যা রয়েছে। এ কারণেই বেশি সংখ্যক মানুষ আশ্রয়ণে আসছে এবং এরপর আপনি এ ধরনের ঘটনা যোগ করছেন। কর্মীদের জন্য এটা খুবই চ্যালেঞ্জিং। তারা অবসাদগ্রস্ত ও ক্লান্ত। তারা (বিক্ষোভকারীরা) যখন দেখছে মানুষ আসছে এবং লোকজনের কাছ থেকে সেবা নিচ্ছে, যাদেরকে তাদের খুব বেশি প্রয়োজন, সে সময় এ ধরনের ঘটনা খুবই হতাশাজনক। এছাড়া শনিবার ১২ ঘণ্টা আশ্রয়ণের ঠিক সামনে ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল।