
ইউক্রেনে রাশিয়ার সম্ভাব্য হামলা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই সম্প্রতি গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডায় সাইবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। কানাডিয়ান সেন্টার ফর সাইবার সিকিউরিটি সোমবার হামলার কথা নিশ্চিত করেছে।
ওই হামলার পর কিছু কূটনীতিক কিছু অনলাইন সেবা থেকে বঞ্চিত হন। তবে ১৯ জানুয়ারির ওই হামলার পেছনে কারা আছে সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি ফেডারেল সরকার। অথচ হামলাটি যখন চালানো হয় তার একদিন আগেই কানাডিয়ান সেন্টার ফন সাইবার সিকিউরিটি রাশিয়া সমর্থিত সম্ভাব্য সাইবার হামলা থেকে সুরক্ষা জোরদার করতে কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল।
হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রেজারি বোর্ড জানিয়েছে, হামলার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এর বেশি জানায়নি তারা। সংস্থাটি বলেছে, কানাডা সরকার চলমান ও নিরবচ্ছিন্ন সাইবার হামলার ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। সিস্টেম বা অ্যাপ্লিকেশনের ভঙ্গুরতার কারণেও সাইবার ঝুঁকি আসতে পারে। আবার এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের ভিত্তিতেও হতে পারে।
ইউক্রেন সীমান্তে সৈন্য সমাবেশকে কেন্দ্র করে মস্কো বর্তমানে কানাডা ও ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে অসস্স্তিকর অবস্থঅয় রয়েছে। ইউক্রেনকে লক্ষ্য করেও গত ১৬ জানুয়ারি বড় ধরনের সাইবার হামলার চেষ্টা হয়েছিল। হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ি করেছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। যদিও মস্কো তা অস্বীকার করেছে।
ট্যাংক ও ভারী অস্ত্রোশস্ত্রসহ ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখ সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়েছে রাশিয়া। এ ঘটনা ইউরোপজুড়ে আগ্রাসনের ভয় তৈরি হয়েছে। যদিও রাশিয়া তা অস্বীকার করেছে। যুক্তরাষ্ট্র সোমবার ইউরোপে তাদের সাড়ে ৮ হাজার সৈন্যকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখার পর উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। ন্যাটোও এরইমধ্যে যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান ও সৈন্য মোতায়েনের একাধিক ঘোষণা দিয়েছে।
ডেনমার্ক বাল্টিক সাগরে একটি ফ্রিগেট ও লিথুয়ানিয়ায় চারটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে। স্পেনও যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে। সেই সঙ্গে তারা বুলগেরিয়ায় যুদ্ধবিমান পাঠানোর বিষয়টিও বিবেচনা করছে। ন্যাটো কমান্ডের অধীনে রোমানিয়ায় সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ফ্রান্স। বুলগেরিয়ায় একজোড়া এফ-৩৫ স্টিল জেট পাঠানোর পরিকল্পনা করছে নেদারল্যান্ডস। আর পূর্ব ইউরোপে সেনা উপস্থিতি বাড়ানোর কথা ভাবছে বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টোলেনবার্গ বলেছেন, জোটের পূর্বাঞ্চলে সৈন্য মোতায়েনের পাশাপাশি সব মিত্রকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রাখবে ন্যাটো। আমাদের নিরাপত্তা পরিবেশ খারাপ হলে সার্বিক নিরাপত্তা শক্তিশালী করার মধ্য দিয়ে আমরা সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবো।