
২০২২ সালে সুদের হার বাড়লেও বাড়ির দাম বৃদ্ধি কমাতে তা যথেষ্ট হবে না বলে জানিয়েছে রিয়েল এস্টেট ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান রয়্যাল লাপেজ। বিশেষ করে গ্রেটার টরন্টো এরিয়াতে (জিটিএ) বাড়ির গড় দাম বৃদ্ধি আবারও দুই অংকের ঘরে পৌঁছে যাবে বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জিটিএতে ২০২১ সালে সার্বিকভাবে বাড়ির দাম ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ১১ লাখ ১৯ হাজার ৮০০ ডলারে পৌঁছেছে। তাদের পূর্বাভাস বলছে, ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে জিটিএতে বাড়ির দাম আরও ১১ শতাংশ বেড়ে ১২ লাখ ৪৩ হাজার ডলারে দাঁড়াতে পারে।
ব্যাংক অব কানাডা ২০২২ সালে সুদের হার পাঁচগুণ বাড়াতে পারে এমন সম্ভাবনার মধ্যেও বাড়ির দাম বৃদ্ধির এ পূর্বাভাস এলো। লাপেজের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফিল সপার শুক্রবার সকালে সিপি২৪কে বলেন, এটা টেকসই নয়। ভালো খবর হলো বাড়ির দাম বাড়লেও ২০২১ সালের তুলনায় অর্ধেক বাড়বে। ভবিষ্যতে দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তবে আমার মনে হয় সেটা ২০২৩ সালের আগে নয়। সে সময় বাড়ির মূল্য বৃদ্ধি এক অংকে নেমে আসবে।
ব্যাংক অব কানাডার সুদের হার কোভিড-১৯ মহামারির শুরু থেকেই দশমিক ২৫ শতাংশে অপরিবর্তীত রয়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকায় ও কর্মসংস্থান মহামারি-পূর্ব অবস্থায় ফিরে আসায় সামনের মাসগুলো থেকে কেন্দ্রীয় সুদের হার বাড়ানো শুরু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সপার বলেন, সরবরাহের দিকে নজর দিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ উদ্যোগ আবাসন বাজারে লাগাম দেওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে বলে মনে হয় না। কয়েক বছর ধরেই সরবরাহ সংকট শুরু হয়েছে এবং মহামারির সময় যখন বাড়ি কেনার দিকে নজর দেওয়ায় সেটা দৃশ্যমান হয়েছে। জনগণ অর্থ জমাচ্ছিলেন। তারা ভ্রমণে বেরোননি, বাইরে খেতে যাননি এবং এ অর্থ তারা জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ব্যয় করেছে।
লাপেজ বলছে, ২০২১ সালে ডিটাচড বাড়ির গড় দাম ২২ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ১৪ লাখ ২১ হাজার ২০০ ডলারে ঠেকেছে। অন্যদিকে কন্ডোমিনিয়ামের দাম ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬৫ হাজার ৪০০ ডলারে। তবে ২০২২ সালে জিটিএতে কন্ডোর দাম বৃদ্ধি ডিটাচড বাড়িকে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন সপার।