
ওমিক্রনের কারণে পঞ্চম ঢেউ চরম আকার ধারণ করতে থাকার মধ্যে নতুন বিধিনিষেধ কার্যকর হয়েছে কানাডায়। এর ফলে দেশের বড় অংশ কার্যত নুয়ে পড়তে শুরু করেছে।
১৯ ডিসেম্বর কুইবেক ও নোভা স্কশিয়া দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড করেছে। অন্যদিকে ২০ ডিসেম্বর অন্টারিওতে নতনু করে বিপুল সংখ্যক নাগরিক আক্রান্ত হয়েছেন। অথচ আগের দিন সংখ্যাটা ছিল খুবই কম। কানাডার অন্যান্য অঞ্চলও গ্রীষ্মের পর ওমিক্রনের কারণে নতুন সংক্রমণের উর্ধ্বগতি দেখছে। অন্টারিও এবং কানাডার কিছু অংশে কোভিড আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি তুলনামূলক বেড়েছে। গুরুতর অসুস্থের সংখ্যা বাড়তে থাকায় দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও শিগগিরই একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে কিছু প্রদেশ জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আবারও আরোপ করতে শুরু করেছে। ভ্যাকসিনেটেড ও ভ্যাকসিনের বাইরে থাকা সবার ক্ষেত্রেই তা প্রযোজ্য। অন্টারিওতে বুধবার থেকেই সামাজিক জমায়েত এবং দোকান-পাট ও রেস্তোরাঁয় ধারণক্ষমতার সীমা কমিয়ে আনা হয়েছে। ইনডোর ডাইনিং বন্ধ করা হয়েছে। স্কুলগুলো আবারও ফিরছে অনলাইনে। ইনডোর গ্যাদারিং ৫ এ নামিয়ে আনা হয়েছে। আউটডোর গ্যাদারিং ২৫ থেকে ১০ এ নেমেছে। প্রাদেশিক সরকার সংক্রমণ কমিয়ে আনতে হিমশিম খাওয়ায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকে একই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া এবং কুইবেকও। একইসঙ্গে হাসপাতাল ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রোগী ভর্তিও বাড়তে শুরু করেছে।
অন্টারিওর কোভিড-১৯ সায়েন্স টেবিলের প্রধান ড. অ্যাডালস্টেইন ব্রাউন বৃহস্পতিবার সতর্ক করে দিয়ে বলেন, প্রদেশে হাসপাতালে রোগী ভর্তি মোটামুটি স্থিতিশীল থাকলেও আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহে তা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গুরুতর অসুস্থ্যও হচ্ছেন অনেকে। দক্ষিণ আফ্রিকাতেও ধরনটি সনাক্ত হওয়ার পর হাসপাতালে রোগী ভর্তির হার বেড়েছিল।