
কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বেশি শোকগ্রস্ত বাবা-মায়ের ছুটির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাবে শেষ মুহূর্তে লিবারেলদের সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হয়েছে কনজার্ভেটিভ পার্টি। মৃত সন্তান প্রসবকারী অথবা মারা যাওয়া শিশুদের মা-বাবাকে আরও বেশি ছুটি দেয়ার প্রস্তাবটি করেছিলেন কনজার্ভেটিভ এমপি টম কেমিয়েক। এই এমপির মেয়ে মাত্র ৩৯ দিন বয়সে ২০১৮ সালে মারা যায়।
ক্যালগেরির এমপি সাধারণ নির্বাচনের আগে বিলটি উপস্থাপন করেছিলেন। কিন্তু অন্যান্য প্রাইভেট বিলের মতো এটিও সেসময় আইনে পরিণত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে প্রচারণার সময় ক্যালগেরির এমপি শেফার্ডের সঙ্গে মৃত সন্তান প্রসবকারী বা শিশু সন্তানদের হারানো মা-বাবার যোগাযোগ করেন। অন্যান্য এমপিও ছিলেন তাদের মধ্যে।
কেমিয়েক বলেন, শোকসন্তপ্ত হওয়ার পরও কর্মস্থলে ফিরতে বাধ্য হওয়া হাজারও মা-বাবা তার দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে শোকের সময়টাতে আরও কিছুদিন বাড়িতে কাটানোর সুযোগ চেয়ে আইনে পরিবর্তন আনার পক্ষে কলম ধরেন। এ ব্যাপারে আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা রয়েছে। শোকের সময়টাতে বাবা-মায়েরা যে কাজ করতে পারেন না সে সম্পর্কিত অসংখ্য গল্পও আমার কাছে রয়েছে।
এর আগে লিবারেল এমপি ব্রেন্ডা শানাহান বলেন, ৩০ বছর আগে আমিও মৃত কন্যা শিশুর জন্ম দিয়েছিলাম এবং এ সময়ে কাজ করা যে কতটা কঠিন সেটা আমি জানি। এটার মধ্য দিয়ে আমাকেও যেতে হয়েছিল।
কেমিয়েক সম্প্রতি পার্লামেন্টে বলেন, অভিবাসনমন্ত্রী সন ফ্রেজারসহ একাধিক এমপির সন্তান হারানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। মায়ের কোলে তাদের নবজাতক কন্যা রুথ কিভাবে মারা যায় ২০১৯ সালে সেই অভিজ্ঞতার কথা অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেন ফ্রেজার।
কেমিয়েক ও অন্য এমপিদের ব্যক্তিগত বেদনার কথা শুনে কেমিয়েকের প্রস্তাবটি আইনে পরিণত করা যায় কিনা তা নিয়ে উভয় দলের এমপিরা কাজ করার কথা বলেন। আন্তঃদলীয় সহযোগিতার বিরল নজির গড়ে শ্রমন্ত্রী সিমাস ও’রিগ্যান ও কনজার্ভেটিভ পার্টির লেবার ক্রিটিক স্কট এইচিসন কেমিয়েকের প্রস্তাবটি আইনে রূপান্তর নিশ্চিত করতে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
ও’রিগ্যান কানাডিয়ান প্রেসকে বলেন, ব্যক্তিগত বিলকে আইনে পরিণত করতে চুক্তিতে উপনীত হওয়ার ঘটনা বিরল এবং এটা সহসা ঘটে না।
মন্ত্রী কেমিয়েকের বিলের গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলো সি-৩ নামে পরিচিত সরকারি বিলে সংযুক্ত করেন। বিলটি হাউসে পাসের জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ে ছিল।