
গত ২৭ নভেম্বর শনিবার সকালে টরন্টোর ডেন্টোনিয়া পার্কে নির্মিত স্থায়ী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা স্মৃতিস্তম্ভের ফলক উন্মোচন করলেন সিটি মেয়র জন টরি। একইসঙ্গে এই নির্মাণটি সিটি কতৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এই উপলক্ষে অর্গানাইজেশন ফর টরন্টো ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাংগুয়েজ ডে মনুমেন্ট ইনক এর পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রুমানা চৌধুরীর সঞ্চালনায় এই আয়োজনে বক্তব্য রাখেন টরন্টোর মেয়র জন টরি, এমপি নাথানিয়েল এরিস্কিন-স্মিথ, এমপিপি রীমা বার্ন্স ম্যাকওয়াইন, এমপিপি ডলি বেগম, সিটি কাউন্সিলর ব্র্যাড ব্র্যাডফোর্ড, কাউন্সিলর গেরি ক্রোফোর্ড, প্রাক্তন কাউন্সিলর জেনেট ডেভিস, ওটিআইএমএলডিএম এর চেয়ারপারসন ব্যারিস্টার চয়নিকা দত্ত, ট্রেজারার মির্জা শহীদুর রহমান, প্রেসিডেন্ট ম্যাক আজাদ ও কানাডাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান।
সিটি মেয়র জন টরি বলেন, এখনও অনেকে মাতৃভাষা রক্ষার জন্যে লড়াই করে যাচ্ছে। মাতৃভাষা রক্ষায় আমরা বদ্ধ পরিকর। আর তাই এই মনুমেন্ট সকলের । এরকম স্থাপনা করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
হাই কমিশনার ড. খলিলুর রহমান বলেন, আজ এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার দুই রূপকার রফিকুল ইসলাম ও আব্দুস সালামের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বাংলাদেশ সরকার ও তাদের উদ্যোগের কারণেই ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পেয়েছে।
এমপি নাথানিয়েল এরিস্কিন-স্মিথ বলেন, যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল আজকের এই মনুমেন্ট তাদের সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। এটি একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলো।
ডলি বেগম এমপিপি বলেন, কানাডার আদিবাসী শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের ঘটনা এবং ভাষা আন্দোলনের চেতনা একইসূত্রে গাঁথা। আর তাই এই শহীদ মিনার নির্মাণকে সাধুবাদ জানাই।
মনুমেন্ট নির্মাণের দায়িত্বে ছিলো আলবিয়ন বিল্ডিং কনস্যালট্যান্ট ইনক।