আপনার অবস্থান ফ্লোরিডার একটি বিচ হাউসে। আপনি আছেন কোয়ারেন্টাইনে। এবং আপনি আপনার পরিবারকে শেষবারের মতো বিদায় জানাচ্ছেন। আপনার বসদের জন্য এটা বাধ্যতামূলক। কারণ, তারা আপনাকে এমন একটি অভিযানে পাঠাচ্ছেন যেখান থেকে আপনার ফেরা নাও হতে পারে।
পৃথিবীতে কেন আপনি এতে হ্যা বলবেন? চন্দ্র অভিযানের প্রস্তুতি যখন নিচ্ছেন তখন নিজেকে এই প্রশ্নটিই করেছেন জেরেমি হ্যানসেন।
কানাডিয়ান এই নভোচারী বলেন, অগ্রজদের পথ ধরেই উত্তরগুলো তিনি পেয়েছেন, যারা মহাকাশ অভিযানের টেবিলে কানাডাকে আসন করে দিতে সহায়তা করেছেন।
কানাডার প্রথম নভোচারী হিসেবে ১৯৭২ সালের পর নাসার আটেমিস ২ অভিযানে মহাকাশে যাচ্ছেন তিনি। গভীর মহাকাশে মানুষ পাঠানোর আমন্ত্রণ পাওয়া দ্বিতীয় দেশ হচ্ছে কানাডা। সায়েন্স ফিকশনে অনুরক্ত হ্যানসেন বলেন, এটা কীভাবে সম্ভব হলো। স্বপ্নবাজ। এভাবেই এটা সম্ভব হয়েছে এবং এই জায়গায় আসতে দশকের পর দশক সময় লেগেছে।
২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে উড্ডয়নের লক্ষ্যে থাকা ক্রু মিশনে তিনিই একমাত্র কানাডিয়ান। বাকিরা সবাই আমেরিকান। তাদের একজন রিড ওয়াইজম্যান, হ্যানসেন যাকে চেনেন ২০০৯ সাল থেকে। কারণ, তারা দুজনই নাসার একই ক্লাসে ছিলেন। বাকি দুজন ভিক্টর গ্লোভার এবং ক্রিস্টিনা হ্যামক কোচ, যারা তাদের পরে ক্লাসে আসেন।
হ্যানসেন বলেন, আমার মনে হচ্ছে এই ক্রুদের আমি অনেকদিন ধরে চিনি। সম্পর্কের প্রাথমিক পর্বটি আমরা পেরিয়ে এসেছি। জাতীয়তার ভিন্নতা নিয়ে তারা খুব একটা ভাবেন না। বিদেশি না ভেবে একে অপরকে বন্ধু হিসেবেই আমরা দেখে থাকি।