শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় ও অন্টারিওর পোস্ট-সেকেন্ডারি শিক্ষার মানোন্নয়নে নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে ডগ ফোর্ড সরকার। ব্যাপক সংখ্যক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী রয়েছেন এমন প্রোগ্রামগুলো পর্যালোচনা এর মধ্যে অন্যতম।
কানাডায় পড়তে আগ্রহী আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ সংখ্যার ওপর ফেডারেল সরকার সীমা আরোপের প্রায় দুই সপ্তাহ পর ২৬ জানুয়ারি প্রকাশ করা নতুন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ব্যবস্থার ঘোষণা দেওয়া হয়। এসব ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে নতুন করে পাবলিক কলেজ ও বেসরকারি অংশীদারিত্ব স্থগিত করা। এই ধরনের সম্পর্ক অধিক আস্থা অর্জনের জন্য বেসরকারি কলেজগুলোকে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জোট বাঁধার সুযোগ করে দেয়। সরকার তদারকি ব্যবস্থা শক্তিশালী ও বিদ্যমান অংশীদারিত্ব উন্নত না করা পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বলবৎ থাকবে।
উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী রয়েছে বিশ^বিদ্যালয় ও কলেজগুলোর প্রস্তাবিত এমন প্রোগ্রামগুলো মূল্যায়ন করে দেখবে সরকার।
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত মন্ত্রী জিল ডানলপ এক বিবৃতিতে বলেছেন, কানাডায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জগুলোয় তাৎক্ষণিক মনোযোগ দেওয়ার পাশাপাশি সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছে রিক্রুটারদের বাজে চর্চা, নাগরিকত্ব ও স্থায়ী বসবাস সংক্রান্ত ভুয়া তথ্য, চাকরির মিথ্য্ াপ্রতিশ্রুতি এবং শিক্ষার্থীদের অপর্যাপ্ত আবাসনের ব্যবস্থা।
মন্ত্রী বলেন, একই সঙ্গে অন্টারিওর শ্রমবাজারের চাহিদা ও শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামগুলোর মধ্যকরা সংযোগকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন। যাতে করে স্বাস্থ্যসেবা এবং দক্ষ বাণিজ্যে আমরা ভালো চাকরিতে আরও বেশি লোকজন পাই।
আরও যেসব ব্যবস্থা সরকার বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে, শ্রমবাজারের চাহিদা পূরণ করা, কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয়গুলোর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসনের নিশ্চয়তা দেওয়া। এসব ব্যবস্থার ব্যাপারে কিছু বিস্তারিত এরই মধ্যে সরবরাহ করা হয়েছে। যদিও সরকার বলছে, ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে তারা আশা করছে।