আগামী তিন বছর অন্টারিও পাবলিক সার্ভিস এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের প্রতিনিধি কলেজ শিক্ষকদের বেতন সাড়ে ৬ শতাংশ হারে বাড়বে। অন্টারিওর আদালত প্রাদেশিক বেতন সীমিত রাখার আইন বিল ১২৪ বাতিল করার পর সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে সর্বশেষ তাদের বেতন বাড়ছে। আইনে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন আগামী তিন বছরে বার্ষিক ১ শতাংশ হারে বৃদ্ধির মধ্যে সীমিত রেখেছিল।
আদালত গত বছর আইনটিকে অসাংবিধানিক হিসেবে রায় দেওয়ার পর সরকার এর বিরুদ্ধে আপিল করেছে। কিন্তু সে নাগাদ অনেক কর্মী বর্ধিত বেতন পেয়েছেন।
এর ফলে ওপিএসইইউয়ের প্রতিনিধি ১৬ হাজার পূর্ণকালীন ও খ-কালীন কলেজ শিক্ষকের বেতন বার্ষিক আগামী দুই বছরে তিন শতাংশ হারে বাড়বে। তৃতীয় বছরে বাড়বে সাড়ে তিন শতাংশ। ইউনিয়ন ও কলেজ এমপ্লয়ার কাউন্সিল একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর পর এই হারে বেতন বাড়ছে তাদের।
ওপিএসইইউয়ের প্রেসিডেন্ট জেপি হরনিক এক বিবৃতিতে বলেছেন, পুরো দর-কষাকষির প্রক্রিয়ায় ফ্যাকাল্টি সদস্যরা আইনগত এই অন্যায্যতা সংশোধনে তাদের প্রতিশ্রুতির স্বাক্ষর রেখেছেন। একই প্রতিশ্রুতিতে তারা তাদের শিক্ষার্থী ও কমিউনিটিকে পুরো মহামারিজুড়ে উন্নত মানের শিক্ষা প্রদান করে গেছেন।
কলেজ এমপ্লয়ার কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গ্রাহাম লয়েড এক বিবৃতিতে লিখেছেন, অন্টারিওর অর্থনীতিতে অন্টারিওর কলেজগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এবং আমরা অ্যাকাডেমিক কর্মী এবং তারা শিক্ষার্থীদের যে শিক্ষা ও স্থিতিশীলতা দিচ্ছেন তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করি।
এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে কলেজ ফ্যাকাল্টিদের জন্য পরবর্তী চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হচ্ছে। ওপিএসইইউয়ের দর-কষাকষি দলের প্রধান রবি রামকিশনসিং বলেন, বিল ১২৪ এর মাধ্যমে বেতন বৃদ্ধির ওপর অসাংবিধানিক নিয়ন্ত্রণ আরোপের পর এই বন্দোবস্ত আমাদের ১৬ হাজার সদস্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কিন্তু মূল্যস্ফীতির কারণে আমাদের সদস্যদের যে প্রকৃত বেতন কমেছে তা পুষিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে এটা যথেষ্ট নয়। আগামী বছর আমরা আবারও আলোচনার টেবিলে বসতে যাচ্ছি। সে সময় আমাদের সদস্যরা আইনি কোনো নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই স্বাধীন ও স্বচ্ছভাবে দর-কষাকষি করতে পারবেন।