অন্টারিওতে আরও বেশি বাড়ি নির্মাণে সব স্তরের সরকারের একযোগে কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে। তবে এ কাজে পোস্ট সেকেন্ডারি শিক্ষা খাতকেও অন্তর্ভুক্ত করা দরকার বলে ইউনিভার্সিটি অব অটোয়াভিত্তিক থিংক ট্যাংক স্মার্ট প্রসপারিটি ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, প্রদেশের আগামী দশ বছরে ১৫ লাখ বাড়ি নির্মাণের যে লক্ষ্য তা ভালো লক্ষ্যমাত্রা। যদিও এই লক্ষ্য অর্জন সত্যিই খুব কঠিন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৮২ সাল থেকে কোনো দশকেই অন্টারিও প্রয়োজনের অর্ধেক বাড়িও নির্মাণ করতে পারেনি। প্রয়োজনের অর্ধেক বাড়ি নির্মিত হলেও তার সংখ্যা দাঁড়ায় সাড়ে সাত লাখ। বলতে গেলে কোনো দশকেই অন্টারিও সাড়ে আট লাখের বেশি নতুন বাড়ি নির্মাণ করেনি। সংক্ষেপে বললে, অন্টারিও গত ৪০ বছরে যা করেনি তা করতে অনেক কিছু করতে হবে।
এই লক্ষমাত্রা অর্জন করা সম্ভব। কিন্তু সেজন্য সরকার ও অন্যান্য খাতের বিপুল জোটবদ্ধ চেষ্টা প্রয়োজন। অবশ্যই লক্ষমাত্রা অর্জনের পথে নেই। সাম্প্রতিক যে উপাত্ত তাতে আমরা ৫৮ শতাংশ লক্ষমাত্রা অর্জনের পথে রয়েছি। সুতরাং বহু পথ পাড়ি দিতে হবে।
এই প্রতিবেদন তৈরিতে অর্থায়ন করেছে অন্টারিওর বিগ সিটি মেয়রস গ্রুপ এবং প্রাদেশিক সরকার মিউনিসিপালিটিগুলোকে আবাসনের আগ্রাসী লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়ার পর তা সামনে এলো।
মিউনিসিপালিটি অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড হাউজিং মন্ত্রী স্টিভ ক্লার্কের একজন মুখপাত্র বলেন, দ্রুত অধিক সংখ্যক বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে মিউনিসিপালিটিগুলো গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। আবাসনের যে প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে মিউনিসিপালিটিগুলো সম্মতি দিয়েছে তা অর্জনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক লাল ফিতা কর্তন ও অনুমোদন প্রক্রিয়া দ্রুত করতে আমরা তাদেরকে একাধিক ক্ষমতা দিয়েছি। অন্টারিওর প্রয়োজন অনুযায়ী বাড়ি নির্মাণ বাড়াতে যে সময়ের প্রয়োজন সেটা আমরা জানি। বিলম্ব এড়িয়ে দ্রুত স্থানীয় বাড়ি নির্মাণ শুরু করতে তাদেকে দেওয়া ক্ষমতা ব্যবহার করা প্রয়োজন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জোনিং, সেবা অনুমোদন ও প্রদানের মধ্য দিয়ে মিউনিসিপাল সরকারগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।