নোটিশ ছাড়াই হাজারো সেনা সদস্যের কস্ট-অব-লিভিং অ্যালাউন্স বাতিলের কারণে তোপের মুখে পড়েছে কানাডার সশস্ত্র বাহিনী। গত সপ্তাহে এক ঘোষণায় সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, আগামী জুলাই থেকে প্রায় ৭ হাজার ৭০০ সেনা সদস্য আর টপ-আপ পাবে না। এর স্থলে একটি আবাসন সুবিধা চালু করা হবে, তাদের জন্য বেশি সহায়ক হবে।
সেনা সদস্যরা এ নিয়ে তাদের ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসন্তোষ প্রকাশ করে যাচ্ছেন। এত স্বল্প সময়ে এটি বাতিলের কারণেও ক্ষুব্ধ তারা। এ ছাড়া গত চার বছরে ১০ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি নিয়ে সন্তুষ্ট নয় অনেকে। ২০২১ সাল পর্যন্ত ভুতাপেক্ষ কার্যকর হবে এটি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নোটিশ না দেওয়ায় সশস্ত্র বাহিনীর এর লোকজনের সঙ্গে কী ধরনের ব্যবহার করছে সে সমস্যা আরও বড় করে সামনে আনছে। কানাডার সশস্ত্র বাহিনীর নিয়োগ ও বিদ্যমান সদস্যদের ধরে রাখতে হিমশিম খাওয়া নিয়ে যে উদ্বেগ তা ক্ষোভ ও হতাশায় রুপ নিচ্ছে।
ভাইস চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ হিসেবে এক সময় কাজ করেছেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল গাই থিবো। তিনি বলেন, আমরা মানুষকে শুধু হতাশই করছি। এটা সম্ভবত তাদেরকে হতাশ করার চূড়ান্ত পদক্ষেপ। এর সঙ্গে বেতনের বিষয়টি জড়িত নয়। এর সঙ্গে মূল্যায়নের বিষয়টি জড়িত।
সশস্ত্র বাহিনীর কস্ট-অব-লিভিং অ্যালাউন্সের পরিবর্তে যে হাউজিং বেনিফিট তা ডিপার্টমেন্ট ন্যাশনাল ডিফেন্স ও ট্রেজারি বোর্ডের মধ্যে ১৪ বছর ধরে চলা বিবাদের ফল। ফেডারেল ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করে থাকে ট্রেজারি বোর্ড।
নির্দিষ্ট কোনো কমিউনিটির কাজ করা ও জীবনযাপনের জন্য যে বাড়তি ব্যয় তা পুষিয়ে দিতে ২০০০ সালে এটি চালু হয়। ২০০৯ সালে এটি স্থগিত রাখা হয়। কর্মসূচিটির ব্যয় ও মানদ- নিয়ে ডিফেন্স ও ট্রেজারি কর্মকর্তাদের মধ্যে বিরোধের কারণে এটি স্থগিত রাখা হয়।