এনভায়রনমেন্টাল বিল অব রাইটস পরিপালনে ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে অন্টারিও সরকার আইন লঙ্ঘন করেছে বলে প্রমাণ পেয়েছে অন্টারিওর একটি আদালত। কোভিড-১৯ ইকোনমিক রিকভারি অ্যাক্ট চালু করার আগে জনগণের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়নি জানিয়ে একাধিক পরিবেশবাদী সংগঠন জুডিশিয়াল রিভিউয়ের আবেদন জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে এ রায় দিয়েছে আদালত।
দ্য কানাডিয়ান প্রেস জানায়, গত গ্রীষ্মে বিল ১৯৭ আনার পর অন্টারিও জনগণের পরামর্শ গ্রহণ শুরু করে। সুপিরিয়র কোর্ট জাস্টিস বলছে, বিলটিতে আনা পরিবর্তন কার্যকর করার পর জনগণের সঙ্গে পরামর্শ করার মধ্য দিয়ে মিউনিসিপ্যাল বিষয়ক মন্ত্রী অযৌক্তিক ও বেআইনী কাজ করেছেন। যদিও মিউনিসিপ্যাল বিষয়ক মন্ত্রীর মুখপাত্র স্টিভ ক্লার্কের দাবি, দ্রুত বদলাতে থাকা মহামারির কারণে সরকার দ্রুত কাজ করতে বাধ্য হয়েছিল।
এর বিরুদ্ধে জুডিশিয়াল রিভিউয়ের আবেদন আংশিক গ্রহণ করে তিন বিচারকের প্যানেল। তবে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কাজের বিরুদ্ধে যে একাধিক চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন তা খারিজ করে দিয়েছেন বিচারকরা। আদালত বলেছে, বিতর্কিত মিনিস্টেরিয়াল জোনিং অর্ডারস বাস্তবায়নের আগে এ সংক্রান্ত সংশোধন প্রস্তাব জানাতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। সরকার তথাকথিত মিনিস্টেরিয়াল জোনিং অর্ডারস বিশেষ করে পরিবেশগত সংবেদনশীল গ্রিনবেল্টে ফাস্ট-ট্র্যাক ভূমি উন্নয়নে ব্যবহার করেছে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর আদালতের এ সিদ্ধান্তকে পরিবেশের পক্ষে বিজয় বলে আখ্যায়িত করেছে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। এই মামলার বাদী সংগঠনগুলোর অন্যতম আর্থরুটসের চেয়ারম্যান গর্ড মিলার বলেন, জনগণের অধিকারকে আদালত সমুন্নত রাখায় ১৫ বছর ধরে অন্টারিওর এনভায়রনমেন্টাল কমিশনার হিসেবে আমি গর্বিত। আদালতের ঘোষণা পরিস্কার। সরকার ওই অধিকার লঙ্ঘনের মধ্য দিয়ে আইন ভঙ্গ করেছে।
আদালতের এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে জনগণের অধিকার পুনপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে দ্য কানাডিয়ান এনভায়রনমেন্টাল ল অ্যাসোসিয়েশন (সিইএলএ)। সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক টেরিসা ম্যাকক্লেনাঘান বলেন, পরিবেশের ক্ষতি করে এমন কোনো বিষয়ে জনগণের জানার, অংশ নেয়ার ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হচ্ছে এনভায়রনমেন্টাল বিল অব রাইটস।
আদালতের এ রায়কে জনগণের বিজয় বলে মন্তব্য করেছেন অন্টারিও গ্রিন পার্টির সেতা মাইক শ্রেইনার। তিনি বলেন, পরিবেশের ওপর প্রভাব ফেলে সরকারের এমন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণের অধিকার জনগণের রয়েছে।