কোভিড-১৯ এর নতুন ধরন ওমিক্রমন ঠেকাতে নতুন ভ্যাকসিনের প্রয়োজন পড়লে ২০২২ সালের শুরুর দিকেই তা প্রস্তুত হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে মডার্না। মডার্নার প্রধান মেডিকেল অফিসার ড. পল বার্টন বিবিসির এন্ড্রু মার শকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।
ড. পল বার্টন বলেন, নতুন ভ্যাকসিনের যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আমার মনে হয় বিস্তৃত পরিসরে তা পেতে ২০২২ সালের প্রথম দিক পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এমআরএনএ ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমরা দ্রুত এটা করতে পারবো। ওমিক্রন ধরন নিয়ে কাজও শুরু করে দিয়েছে মডার্না।
বার্টন বলেন, বিদ্যমান কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ওমিক্রনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে সক্ষম কিনা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা জানতে পারবে মডার্না। তবে ৩০টি মিউটেশনের কারণে ওমিক্রন ভ্যাকসিনের সুরক্ষা ভাঙতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। সে হিসেবে আমার মনে হয় এটা খুবই উদ্বেগজনক ভাইরাস।
ওমিক্রনের ভ্যাকসিন আনার সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণের ব্যাপারে গ্লোবাল নিউজের পক্ষ থেকেও যোগাযোগ করা হয়েছিল মডার্নার সঙ্গে। তবে এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত কোম্পানিটির পক্ষ থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ওমিক্রনকে উদ্বেগজনক ধরন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। অন্য ধরনগুলোর চেয়ে এটি সম্ভবত বেশি সংক্রামক হলেও গুরুতর অসুস্থতার জন্য দায়ী কিনা সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি।
এদিকে ধরনটির বিস্তার ঠেকাতে কানাডাসহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ বিধিনিষেধ আরোপ শুরু করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বেশ কিছু দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও এরই মধ্যে আরোপ করেছে তারা।
বার্টন বলেন, বয়স্ক ও আগে থেকেই ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের ওপর ওমিক্রনের প্রভাব অবশ্যই মূল্যায়ন করে দেখতে হবে। তার আগ পর্যন্ত এটি কতটা গুরুতর অসুস্থতা ডেকে আনতে পারে তা বলা সম্ভব নয়। তারপরও আশাবাদের যথেষ্ট কারণ আছে। ভাইরাসটি সম্পর্কে সাধারণভাবে আমরা অনেক কিছু জেনেছি। সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি ও ভ্যাকসিনের মাধ্যমে কিভাবে কোভিড-১৯ মোকাবেলা করতে হয় সেটাও আমরা শিখে নিয়েছি।