
ভ্যাকসিনেশনের বাইরে থাকা লোকজনের মধ্যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় কোভিড-১৯ সংক্রান্ত ব্যয়ের জন্য আরও ২২০ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখছে অন্টারিও সরকার। বৃহস্পতিবারও প্রদেশে নতুন করে ৫১৩ জন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের ৮০ শতাংশই হয় ভ্যাকসিন নেননি অথবা আংশিক নিয়েছেন। জুনের মাঝামাঝি সময়ের পর এটাই প্রদেশে সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ। আগের দিন ২২ হাজার ৮৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫১৩ জনের কোভিড-১৯ সনাক্ত হয়। আক্রান্তেদের অর্ধেকের বয়স ২০ থেকে ৩৯ বছরের মধ্যে। কোভিড-১৯ এ নতুন করে কোনো মৃত্যু না হলেও ১১৩ জন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্রিস্টিন এলিয়ট। তাদের মধ্যে দুইজন পুরোপুরি ভ্যাকসিনেটেড, ৪৪ জন আদৌ ভ্যাকসিন নেননি এবং বাকি ৬২ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন কিনা জানা যায়নি।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই বৃহস্পতিবার প্রদেশের ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক তথ্য প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী পিটার বেথনেলফালভি। বাজেটে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২৯০ কোটি অতিরিক্ত রাজস্ব প্রাক্কলনের ওপর ভর করে এদিন বাড়তি ২২০ কোটি ডলারের কোভিড-১৯ তহবিলের ঘোষণা দেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে প্রাক্কলনের চেয়ে বেশি রাজস্ব বাজেট ঘাটতি কমিয়ে আনবে। তারপরও করোনাভাইরাসের উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্টের কারণে আরেকটি ঢেউয়ের মধ্যে পড়া এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ চাহিদা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকছেই।
ফেডারেল সরকারের কাছ থেকে ১৯০ কোটি ডলার এবং করপোরেট কর ও জমি হস্তান্তর বাবদ প্রায় ১০০ কোটি ডলার পাওয়ার ওপর ভর করে উচ্চ রাজস্বের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এর ফলে ঘাটতি প্রাক্কল করা হচ্ছে ৭০ কোটি ডলার।
নতুন করে ২২০ কোটি ডলারের এই তহবিলের অর্থ কোথায় ব্যয় হবে সেটি খোলাসা করেননি অর্থমন্ত্রী। প্রয়োজন হলে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সরকারের কাছে এ অর্থ থাকবে বলে জানান তিনি।
এদিকে শিশুদের নিরাপদে স্কুলে ফিরিয়ে আনতে এখনই এই তহবিল ব্যবহার করা উচিত বলে মন্তব্য করেছে তিনটি বিরোধীদলই। ভবিষ্যতের জন্য তহবিলের অর্থ তুলে রাখার পক্ষে নয় তারা।