বেসরকারি সংস্থার নার্স ও সহায়তা কর্মীদের দিয়ে শিফট পূর্ণ করতে অন্টারিওর হাসপাতাল ও লং-টার্ম কেয়ার হোমগুলো (এলটিসি) গত বছর প্রায় ১০০ কোটি ডলার ব্যয় করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক নথিতে এই হিসাব উঠে এসেছে।
তথ্য স্বাধীনতার আওতায় আবেদনের মাধ্যমে ২০২৩ সালের স্টাফিং এজেন্সির হালনাগাদ তথ্য হাতে পেয়েছে দ্য কানাডিয়ান প্রেস। তাতে দেখা গেছে, হাসপাতাল ও লং-টার্ম কেয়ার এবং কর্মঘণ্টা ও মোট ব্যয় সবকিছুতেই এজেন্সির ব্যবহার ২০২১-২২ থেকে ২০২২-২৩ সালে বেড়েছে।
হাসপাতাল ও লং-টার্ম কেয়ার হোমগুলো নিজস্ব কর্মীদের মাধ্যমে তাদের সব শিফট পূরণ করতে না পারলে স্টাফিং এজেন্সির সহায়তা নিয়ে থাকে। এর ফলে কর্মী সংকটের মুখে এজেন্সিগুলো থেকে সাময়িক সময়ের জন্য নেওয়া নার্স সহায়ক কর্মীরা হাসপাতাল ও লং-টার্ম কেয়ার হোমগুলোকে সেবা প্রদান অব্যাহত রাখার সুযোগ করে দেয়। কিন্তু এজেন্সিগুলো এজন্য নিয়মিত কর্মীদের তুলনায় দ্বিগুন, কখনো কখনো তিনগুন ঘণ্টাপ্রতি মাশুল ধার্য করে বলে হাসপাতাল ও লং-টার্ম কেয়ার হোমগুলো জানিয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিলভিয়া জোন্স সম্প্রতি আবারও প্রদেশে এজেন্সির ব্যবহার কমছে বলে জানিয়েছেন। গত অক্টোবরে আইনসভায় তিনি বলেন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ব্যবহারÑএজেন্সি নার্সিংÑঅন্টারিওতে প্রকৃতপক্ষে কমেছে।
জোন্সের একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে লিখেছেন, এজেন্সি নার্স ও এজেন্সি কর্মীদের মোট কর্মঘণ্টার অনুপাত ২০১৭ সালের পর থেকে হ্রাস পেয়েছে।
কিন্তু ২০২১-২২ থেকে ২০২২-২৩ সময় পর্যন্ত বিষয়টি মোটেও তেমন নয়। মন্ত্রণালয়ের নথি তৈরির সময় এটাই সর্বশেষ উপাত্ত হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। নথিতে বলা হয়েছে, কর্মী সংকট মোকাবিলায় যেসব প্রতিষ্ঠান এজেন্সির ওপর নির্ভরশীল তাদের এর ব্যবহার বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা ও স্বাস্থ্যকর্মী পরিকল্পনা শাখা লিখেছে, হাসপাতাল ও লং-টার্ম কেয়ার হোমগুলোতে কর্মী সংকটের সমস্যা রয়েই গেছে। হেলথ হিউম্যান রিসোর্সের (এইচএইচআর) মাধ্যমে কর্মী সংখ্যা বাড়ানোর পরও শূন্যপদ রয়ে গেছে। কর্মীদের হাসপাতাল ও লং-টার্ম কেয়ার থেকে অন্যান্য খাত ও এজেন্সিতে চলে যাওয়াই এর মূল কারণ। পাশাপাশি সক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে কর্মীদের উচ্চ চাহিদাও এর আরেকটি কারণ।