অন্টারিওর পোস্ট সেকেন্ডারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে তহবিল দেওয়ার সাম্প্রতিক যে ঘোষণা তা কেবল সাময়িক চাহিদা পূরণ করবে। এরপরও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সমস্যায় থাকবে, যা শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা ক্ষতিগ্রস্ত করবে। বৈশ্বিক ঋণমান নির্ণয়কারী সংস্থা ডিবিআরএস মর্নিংস্টার ২৮ ফেব্রুয়ারি এই তথ্য জানিয়েছে।
এক মন্তব্যে সংস্থাটি লিখেছে, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় মন্ত্রী জিল ডানলপ এ সপ্তাহে তিন বছরের জন্য ১৩০ কোটি ডলারের যে প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন তা অন্টারিওর বিশ^বিদ্যালয়গুলোর মৌলিক রাজস্ব নমনীয়তা সমাধানে ব্যর্থ হবে। এই পদক্ষেপ স্বল্প মেয়াদে চাহিদা পূরণ করলেও অন্টারিওর বিশ^বিদ্যালয়গুলোর রাজস্ব নমনীয়তার মৌলিক ঘাটতি পূরণ করতে পারবে না।
ডিবিআরএস লিখেছে, এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অব্যাহতভাবে বাজেট সিদ্ধান্ত গ্রহণে চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হবে বলে আমাদের ধারণা। শেষ পর্যন্ত যা মানসম্মত উচ্চ শিক্ষার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সেই সঙ্গে এ খাতের ঋণমাণের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
সংস্থাটি অন্টারিওর এক ডজন বিশ^বিদ্যালয়ের ঋণমাণ দিয়ে থাকে। কিন্তু সরকারের ঘোষণার মধ্যে কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয় উভয়ই রয়েছে। এই দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনগুলো বলেছে, প্রাদেশিক তহবিল প্রয়োজনের তুলনায় কম।
সরকার গঠিত কমিশন যে সুপারিশ করেছিল ডানলপের ঘোষিত তহবিল তার অর্ধেকেরও কম। মন্ত্রী এও ঘোষণা দেন যে, টিউশন ফির ওপর স্থিতাবস্থা আরও তিন বছরের জন্য বহাল থাকবে, যা কমিশনের সুপারিশের উল্টো।
ঘোষিত ১৩০ কোটি ডলারের মধ্যে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে কাঠামোগত সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘমেয়াদি ব্যয় সাশ্রয়ে ব্যয় হবে ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। আর্থিক স্থিতিশীলতা যৌথ দায়িত্ব বলে জানান ডানলপ।