টরন্টোতে ছয়টি বিশ্বকাপ ম্যাচ আয়োজনে খরচ হবে ৩৮ কোটি ডলার। শুরুতে ৩০ কোটি ডলার ব্যয়ের হিসাব করা হয়েছিল। নতুন এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর সঙ্গে যৌথভাবে বিএমও ফিল্ডে ২০২৬ সালের বিশ^কাপ ফুটবল আয়োজন করতে যাচ্ছে। টরন্টোর পাশাপাশি কিছু ম্যাচ ভ্যানকুভারেও অনুষ্ঠিত হবে।
মেয়রের নির্বাহী কমিটির এ সপ্তাহের প্রতিবেদনে কর্মকর্তারা বলেছেন, মূলধনী ও পরিচালন ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৩৮ কোটি ডলারের আশপাশে।
অন্টারিও সরকার শর্তযুক্তভাবে ফিফা বিম্বকাপ অয়োজনে টরন্টোকে ৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার পর্যন্ত প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সিটি কর্তৃপক্ষ বলেছে, কানাডিয়ান সরকার তাদেরকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট আর্থিক প্রতিশ্রুতি এখনো নিশ্চিত করেনি।
এর ফলে অর্থনৈতিক যে কর্মকা- উৎপাদিত হবে তার ফলে নগরীর জিডিপিতে ৩৯ কোটি ২০ লাখ ডলার যোগ হবে বলে আশা করছে সিটি কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া প্রাদেশিক জিডিপিতে যোগ করবে ৪৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার। টরন্টোর জন্য কর রাজস্ব জোগান দেবে সাকল্যে ১১ কোটি ৮৯ লাখ এবং অন্টারিওকে দেবে ১৩ কোটি ৮৯ লাখ ডলার।
মেয়র অলিভিয়া চাউ বলেন, বর্ধিত ব্যয় সম্পর্কে স্বচ্ছ থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আায়োজন যাতে সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতার সঙ্গে হয় সেটা নিশ্চিত করতে চান তিনি।
চাউ বলেন, আমরা যত বেশি সংখ্যক টরন্টোবাসীকে সম্পৃক্ত করতে চাই। আমরা কেবল আনন্দই ভাগাভাগি করে নিতে চাই না, ছোট ব্যবসাগুলো যাতে এ থেকে উপকৃত হতে পারে সেটাও নিশ্চিত করতে চাই আমরা। বিশ^কাপ আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা সাড়ে তিন হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছি। এর ফলে আর্থিক ফলাফল পাওয়া যেতে পারে ৪০ কোটি ডলারের। সুতরাং, অবশ্যই এটা ব্যবরা জন্য ভালো এবং ফুটবল ভক্তদের কাছে দারুণ কিছু।