কানাডা যে হারে বিচাররের অপেক্ষায় থাকা ব্যক্তিদের কারাবন্দী রাখছে গত দশ বছরে তা দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। এর ফলে প্রাদেশিক ও আঞ্চলিক কারাগারগুলোতে আইনত নির্দোষ ব্যক্তিদের সংখ্যা চারগুণ বেড়েছে। কানাডিয়ান সিভিল লিবার্টিজ অ্যাসোসিয়েশনের (সিসিএলএ) নতুন এক প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
সিসিএলএর ক্রিমিনাল জাস্টিস প্রোগ্রামের নির্বাহী পরিচালক শাকির রহিম কুইন’স পার্কে ২৬ ফেব্রুয়ারি ৯৩ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন। কুইন’স ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক নিকোল মায়ার্স এ সময় তার পাশে ছিলেন।
সাংবাদিকদের রহিম বলেন, প্রতিবেদনে যে তথ্য উঠে এসেছে তা ভয়াবহ। ট্রায়ালপূর্ব বন্দ্বিত্ব আমাদের দেশে ভয়ঙ্কর ও অমানবিক।
জাতীয় জামিন ব্যবস্থা নিয়ে ২০১৪ সালে সিসিএলএর ঐতিহাসিক প্রকাশনা ‘সেট আপ টু ফেইল: দ্য রিভলভিং ডোর অব প্রি-ট্রায়াল ডিটেনশন’ প্রকাশের ১০ বছর পর প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হলো। গত এক দশকে পরিস্থিতির সামান্যই বদল হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে নতুন প্রতিবেদনে।
সেট আপ টু ফেইল যখন প্রকাশিত হয় তখন সিসিএলএ বলেছিল, কানাডার প্রাদেশিক ও আঞ্চলিক কারাগারগুলোতে আটক বন্দীদের ৫৫ শতাংশ বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন এবং আইনগতভাবে তারা নির্দোষ। নতুন প্রতিবেদনে সারাদেশে এই হার ৭০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রাদেশিক উপাত্ত অনুযায়ী, অন্টারিওতে গত বছর কারাগারে থাকা ৮২ শতাংশ ব্যক্তি বিচারের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। মায়ার্স বলেন, কানাডার জামিন ব্যবস্থায় আমরা খুবই গুরুতর এবং দীর্ঘদিনের পারমাণবিক সমস্যা মোকাবিলা করছি।
প্রতিবেদন তৈরিতে সিসিএলএ এবং বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত পেশাজীবী ও স্বেচ্ছাসেবীরা ২০২১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৭৯ দিনের বেইল কোর্ট পর্যবেক্ষণ করেছেন। সাকল্যে এক হাজার ২৮৪টি জামিনের ঘটনা পর্যালোচনা করা হয়। সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় ৩৩ জন পেশাজীবীর।
এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য গত মাসে অ্যাটর্নি জেনারেল মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সিটিভি নিউজকে বলা হয়, জননিরাপত্তা এবং সুরক্ষাকে অগ্রাধিকারে পদক্ষেপ গ্রহণে ১০ কোটি ডলার ব্যয় করা হয়েছে।