স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরমগুলোতে ফ্রেঞ্চ ভাষার কনটেন্ট বাড়াতে আইন করতে আগ্রহী কুইবেক। বিদেশি ডিজিটাল সংস্কৃতি ও কর্পোরেশনগুলোর প্রভাব কমানোর চেষ্টার অংশ হিসেবে এই আগ্রহ দেখিয়েছে তারা।
সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত একটি কমিটি গত সপ্তাহে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে কুইবেকের জন্য ৩২ দফা সুপারিশ করা হয়েছে, যাতে করে এই লক্ষ্য অর্জন করা যায় এবংঅ্যাপল টিভি ও স্পটিফাইয়ের মতো প্ল্যাটফরমে ইংরেজি ভাষার কনটেন্টের আধিপত্যের বিরুদ্ধে পাল্লা দেওয়া সম্ভব হয়।
কুইবেকের পরিসংখ্যান সংস্থার সাম্প্রতিক এক গবেষণার তথ্য উল্লেখ করেছে কমিটি। তাতে দেখা গেছে, কুইবেকবাসীর গান শোনার অভ্যাসে ইংরেজি আধিপত্য করছে। ফ্রাঙ্কোফোন প্রদেশগুলোতে ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি শোনা ১০ হাজার গানের মধ্যে ৮৫ দশমিক ৭ শতাংশই ইংরেজি।
কমিটি বলেছে, কুইবেকের বর্তমান পরিস্থিতি আতঙ্কের। কোনো ধরনের ব্যবস্থা না নিলে আমাদের সাংস্কৃতিক ইকোসিস্টেমের যে জরুরি বিষয় তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কমিটির করা সুপারিশের কেন্দ্রে আছে ফ্রেঞ্চ ভাষায় মূল সাংস্কৃতিক কনটেন্টে প্রবেশের মৌলিক অধিকার ও তা আবিস্কারের উপায় সৃষ্টি করতে নতুন আইন করা। আইনে ডিজিটাল প্ল্যাটফরম নিয়ন্ত্রণের একটি কর্মকাঠামো থাকা উচিত। যেখানে ন্যূনতম পরিমাণে ফ্রেঞ্চ ভাষার কনটেন্ট থাকবে। সম্ভব হলে ফ্রেঞ্চ ভাষার কনটেন্টের জন্য কোটাও করা যেতে পারে।
২ ফেব্রুয়ারি এক সাক্ষাৎকারে কুইবেকের যোগাযোগ ও সাংস্কৃতিক মন্ত্রী ম্যাথু লাকোম্বি সামনের মাসে একটি বিল উত্থাপনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন, যাতে করে ডিজিটাল প্ল্যাটফরমগুলো প্রদেশের গ্রাহকদের জন্য বেশি করে ফ্রেঞ্চ ভাষার কনটেন্ট উপভোগের সুযোগ দেয়। কমিটির সুপারিশগুলো তিনি পড়ে দেখেছেন। তবে ঠিক কোন কোন পদক্ষেপ বিলে অন্তর্ভুক্ত করা হবে তা বলেননি। অথবা সেটা কুইবেক চার্টার অব রাইটসের সংযোজন হবে কিনা তাও জানাননি।