নবাগতদের কেউ ভুয়া আইনজীবীদের প্রতারণার ফাঁদে পড়লে কানাডিয়ান স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হতে সময় লাগবে না। বার অব মন্ট্রিয়লের প্রেসিডেন্ট এই মন্তব্য করেছেন। সংগঠনটি স্থানীয় আইনজীবীদের প্রতিনিধিত্ব করে থাকে।
ডেভিড এটেডগুই বলেন, প্রতারকরা নগরীর সবচেয়ে নাজুক গ্রুপগুলোর একটিকে লক্ষ্যে পরিণত করছে। অভিবাসন সংক্রান্ত সেবার বিনিময়ে বিপুল অংকের মাশুল আদায় করছে। কিন্তু সেবা মিলছে সামান্যই। বাকিরা ভুক্তভোগীদের ফেলে চলে যাচ্ছে।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পয়সাওয়ালা লোকদেরকে যেমন আমরা এ ধরনের প্রতারণার শিকার হতে দেখি, একইভাবে আশ্রয়প্রার্থীদেরও একই প্রতারণায় পড়তে দেখি। তাদের অনেকেই শুধুমাত্র তাদের কাপড়-চোপড় ও সুইটকেসটি নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়েছেন। কিন্তু একটা বিষয় উভয়ের ক্ষেত্রেই সাধারণ। তা হচ্ছে তারা সবাই কানাডায় নতুন জীবন শুরু করার চেষ্টা করছেন।
বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির একটি প্রচারণা এই সপ্তাহে শুরু করেছে বার অব মন্ট্রিয়ল। তাদের আইনজীবীর কুইবেকে প্র্যাক্টিস করার অনুমোদন আছে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে নিতে লোকজনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন তারা। গোপন কৌশল যেমন অনানুষ্ঠানিক স্থানে দেখা করা, দ্রুত ফলাফল পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অথবা আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের অভাবের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে প্রচারণায়।
এটেটগুই বলেন, প্রচারণাটি জরুরি। কারণ, সাম্প্রতিক বছরগুলোত বারে অভিবাসন-সংক্রান্ত অভিযান উল্লেখযোগ্য বেড়ে গেছে। সংগঠনটি অভিযোগের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানাতে পারেনি। তবে ভুয়া আইনজীবীর সংখ্যা ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বেড়ে তিনগুণ হয়েছে বলে জানিয়েছে। ২০১৮ সালে বারে আসা মোট অভিযোগের ১৩ শতাংশ ছিল এ ধরনের। কিন্তু চার বছর পর তা বেড়ে হয়েছে ৩৯ শতাংশ।