শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
10.8 C
Toronto

Latest Posts

অন্টারিওতে ২০২০ সালে খোয়া গেছে ৩ লাখ ৫৫ হাজার চাকরি

- Advertisement -

কোভিড-১৯ মহামারির কারণে অন্টারিওতে ২০২০ সালেই খোয়া গেছে ৩ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি চাকরি। কোনো একক বছরে চাকরি হারানোর এটা নতুন রেকর্ড বলে জানিয়েছে ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি অফিস।

- Advertisement -

চাকরি হারানোর পাশাপাশি ৭ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি অন্টারিওবাসীর কর্মঘণ্টাও হ্রাস পেয়েছে। ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি অফিসার পিটার ওয়েল্টম্যান বলেন, এটা একেবারেই ভিন্ন ধরনের এক মন্দা। বিপুল সংখ্যক মানুষকে আমরা শ্রমবাজার থেকে ছিটকে যেতে দেখেছি। কারণ, মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অনেকেই কাজের সন্ধানে যেতে পারেননি। অনেকে আবার অন্যান্য কারণেও শ্রমশক্তিতে ফিরতে পারেননি।

ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি অফিসের প্রতিবেদন বলছে, মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অ্যাকোমোডেশন ও ফুড সার্ভিস খাত। শুধু এই দুই খাতেই খোয়া গেছে ১ লাখ ১০ হাজার চাকরি। অন্যান্য মন্দায় যেটা দেখা যায়নি। উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার প্রয়োজন পড়ায় খাদ্য উৎপাদন খাতে চাকরি খোয়া গেছে অন্যান্য খাতের তুলনায় দ্রুত গতিতে।

ওয়েল্টম্যান বলেন, বয়সভিত্তিক হিসাব করলে সবচেয়ে বেশি চাকরি খুইয়েছেন ১৪ থেকে ২৫ বছর বয়সী। মোট কর্ম হারানো মানুষের ২২ শতাংশই এই বয়স শ্রেণির।

কোভিড-১৯ মহামারিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা অন্টারিওর পিটারবোরো। এরপর সবচেয়ে বেশি কাজ হারিয়েছেন উইন্ডসরের বাসিন্দারা। মহামারি পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ব্যাপারে পুরোপুরি আশাবাদী ওয়েল্টম্যান। তবে এটা নির্ভর করছে কত দ্রুত মানুষকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনা যায় তার উপর।
মহামারির কারণে দুই দফা লকডাউনের আওতায় পড়তে হয় অন্টারিওকে। এর ফলে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি আরোপ করায় প্রদেশজুড়ে ব্যবসায়িক কর্মকা- বন্ধ হয়ে যায়। যদিও প্রদেশের অধিকাংশ এলাকা এরই মধ্যে লকডাউন থেকে বেরিয়ে এসেছে।

মহামারির মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের সহায়তা একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অন্টারিও সরকার। বিদ্যুৎ বিলের হার কমানোর পাশাপাশি ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার ডলার অনুদানও দেওয়া হয়েছে।

ডেপুটি প্রিমিয়ার ক্রিস্টিনা এলিয়ট বলেন, সরকারের প্রধান লক্ষ্য হলো প্রদেশের বাসিন্দাদের সুরক্ষিত রাখা। তবে চাকরি হারানোর বিষয়টি উদ্বেগজনক।

চাকরি হারানোর বিষয়টিকে বিপর্যয়কর বলে মন্তব্য করেছেন এনডিপি নেতা আন্দ্রিয়া হরওয়ার্থ। তিনি বলেন, মহামারিতে যারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তাদেরকে সহায়তার বিষয়টি প্রতিবেদন থেকে সরকার উপলব্ধি করতে পারবে বলে আশা করছি। প্রথমত নারী, তরুণদের সবচেয়ে কঠিন কাজগুলো করতে হয়। ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশনের প্রতিবেদনও বলছে, তারাই সবচেয়ে বেশি কাজ হারিয়েছেন।

গ্রিন পার্টির নেতা মাইক শ্রেইনার বলেন, মহামারির শেষ পর্যন্ত যে সরকারি সহায়তা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন, প্রতিবেদনে সেটাই উঠে এসেছে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার পরিকল্পনার একটা রূপরেখা প্রণয়নও প্রয়োজন।

- Advertisement -

Latest Posts

Don't Miss

Stay in touch

To be updated with all the latest news, offers and special announcements.