শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
4 C
Toronto

Latest Posts

দামি বাড়িতে আগ্রহ বেড়েছে ক্রেতাদের

- Advertisement -

কোভিড-১৯ মহামারির কারণে কানাডাজুড়ে চাকরিচ্যুতি ও আয় কমার পরও দামি বাড়ির প্রতি আগ্রহ বেড়েছে ক্রেতাদের। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভ্যানকুভার, টরন্টো, অটোয়া ও মন্ট্রিয়লের মতো প্রধান শহরগুলোর উচ্চমূল্যের বাড়ি বেশি কিনছেন তারা। নতুন অভিবাসী, সরকারি সহায়তা কর্মসূচি ও কম আয়ের মানুষদের আবাসন বাজার থেকে ছিটকে পড়াকে এর কারণ হিসেবে মনে করছে কানাডা মর্টগেজ অ্যান্ড হাউজিং করপোরেশন (সিএমএইচসি)।

- Advertisement -

সিএমএইচসির ডেপুটি চিফ ইকোনমিস্ট আলেদ আব লরওয়ার্থ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, উচ্চ আয়ের পরিবারগুলো মহামারির সঙ্গে ভালোমতোই মানিয়ে নিতে পেরেছে। চাকরি ধরে রাখার পাশাপাশি তাদের আয়ও বেড়েছে। আবাসন বাজারে উচ্চমূল্যের বাড়ির চাহিদা বৃদ্ধিতে এর প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে।

মহামারিজুড়ে ভ্যানকুভার, ক্যালগেরি, এডমন্টন, টরন্টো, অটোয়া ও মন্ট্রিয়লের আবাসন বাজারের গতি-প্রকৃতি নিয়ে সিএমএইচসি বিশ্লেষণামূলক প্রতিবেদন প্রকাশের পর এ মন্তব্য করলেন লরওয়ার্থ। প্রতিবেদনে যা উঠে এসেছে তাতে মহামারি ও আবাসন বাজারের মধ্যে কোনো মিল পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ, স্বাস্থ্য সংকটের মধ্যেও এসব বাজারে নতুন বাড়ির নির্মাণ, দাম ও বিক্রি সবই প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে গেছে।

সিএমএইচসির বিশ্লেষণ বলছে, লকডাউন ও জনস্বাস্থ্য-সংক্রান্ত অন্যান্য বিধিনিষেধ ২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বাড়ির দাম ও বিক্রি অস্বাভাবিক কমিয়ে দিয়েছিল। তবে এ অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগেনি। তৃতীয় পান্তিকেই বাড়ি বিক্রি ও দাম মহামারি-পূর্ব সময়কে ছাড়িয়ে যায়। সাম্প্রতিক কয়েক মাস ধরে তো নতুন বাড়ি নির্মাণের চেয়ে বিক্রি হচ্ছে বেশি। এর ফলে বাড়ির দাম বাড়ছে এবং যারা তুলনামূলক সস্তায় বাড়ি কিনতে চান তারা আবাসন বাজার থেকে ছিটকে পড়ছেন।

সিএমএইচসির তথ্য অনুযায়ী, মহামারির শুরুর দিকে ভ্যানকুভার, টরন্টো, অটোয়া ও মন্ট্রিয়লে নতুন বাড়ি নির্মাণের চেয়ে বিক্রি পড়েছিল দ্রুত গতিতে। তবে তৃতীয় প্রান্তিকেই পরিস্থিতি বদলে যায়। বিক্রির জন্য যত সংখ্যক বাড়ি তালিকাবদ্ধ হয়, বিক্রি হয় তার চেয়েও বেশি।

আবাসন বাজারের এ প্রবণতা দীর্ঘ হলে তার প্রভাব স্বল্প মূল্যের বাড়ির ক্রেতাদের ওপর কি হবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন লরওয়ার্থ। তিনি মনে করেন, মহামারির কারণে খুচরা ব্যবসা ও অন্যান্য খাতে চাকরি হারানো অনেকেই তা আর ফেরত পাবেন না। এর প্রভাব আবাসন বাজারের ওপর কেমন হবে তা বলার সময় এখনও আসেনি।

ভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসায় জনগণ স্বাভাবিক ব্যয়ের ধারায় ফিরবেন এবং রেস্তারাঁ ও শহুরে অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্রও খুলে যাবে বলে মনে করেন তিনি। তবে স্বল্প মূল্যের আবাসন বাজারের পালে কবে নাগাদ হাওয়া লাগবে সেটা বলা সত্যিই মুশকিল। তিনি বলেন, সত্যিই আমরা এখনও মহামারির হাতে বন্দি।

- Advertisement -

Latest Posts

Don't Miss

Stay in touch

To be updated with all the latest news, offers and special announcements.