কানাডায় পড়ার জন্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের আবেদনের ক্ষেত্রে বর্তমানে তহবিলের যে পরিমাণের প্রয়োজন হয় তা দ্বিগুন করছে অটোয়া। অভিবাসনমন্ত্রী মার্ক মিলার ৭ নভেম্বর এ তথ্য জানিয়েছেন।
একইসঙ্গে যেসব প্রদেশ শিক্ষার্থীদের আবাসনের ব্যবস্থা না করবে সেসব প্রদেশের জন্য ভিসার সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন তিনি। অথবা যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতে দেওয়া উচিত নয় বলে তিনি যে যুক্তি দিয়েছেণ সেগুলো বন্ধ করা না হলেও একই পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছেন অভিবাসনমন্ত্রী।
এক সংবাদ সম্মেলনে মার্ক মিলার বলেন, প্রদেশগুলো বিপুল সংখ্যক ডিপ্লোমা দিচ্ছে এবং এটা শিক্ষার্থীদের বৈধ অভিজ্ঞতা নয়। এটা জালিয়াতি এবং এর অবসান হওয়া উচিত। এসব পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা যাতে বিপন্ন না হয় সেটা নিশ্চিত করা। নিশ্চিতভাবেই আমরা কিছু পক্ষের দ্বারা অনাচার ও নিপীড়নের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছি।
আগামী বছর থেকে সম্ভাব্য শিক্ষার্থীদের ২০ হাজার ৬৩৫ ডলারে প্রবেশাধিকার থাকতে হবে। দুই দশক ধরে এই অঙ্কটা ১০ ডলারে রয়েছে। ভ্রমণ ও টিউশন ফি পরিশোধের বাইরে এই পরিমাণ অর্থ থাকতে হবে। স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার জীবনযাত্রার ব্যয়ের ভিত্তিতে অঙ্কটা সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হবে।
কিছু কলেজ বিদেশিদের অপর্যাপ্ত শিক্ষা দিচ্ছে বলে কয়েক বছর ধরেই যুক্তি দিয়ে আসছেন সমালোচকরা। একই সঙ্গে তাদেরকে কাজের জন্য ভিসা দেওয়া হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত অভিবাসনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী বৃদ্ধি ও আবাসন সংকট কাকতালীয়ভাবে সামনে আসায় বিষয়টি জোর যাচাই-বাছাইয়ের মুখে পড়েছে।
মিলার বলেন, আবাসন সংকটের জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের দায়ী করা ভুল হবে। একইভাবে কোনো ধরনের সহায়তা ছাড়াই তাদেরকে কানাডায় আমন্ত্রণ জানানোও সঠিক হবে না। যেমন কীভাবে তাদের মাথার ওপর ছাদের ব্যবস্থা করা হবে সেটি। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে আমরা এটা আশা করব যে, তারা যেন সেই সংখ্যক শিক্ষার্থী গ্রহণ করে যাদেরকে তারা আবাসনের ব্যবস্থা করতে অথবা ক্যাম্পাসের বাইরে আবাসন খুঁজে পেতে সহায়তা করতে সমর্থ হয়।
ভিসার সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেওয়ার আগে প্রদেশগুলোর সঙ্গে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান মার্ক মিলার। তিনি বলেন, যথেষ্ট হয়েছে। প্রদেশ ও অঞ্চলগুলো যদি এটা না করে তাহলে আমরাই তাদের জন্য এটা করব। এবং আমরা যে পদ্ধতিটি ব্যবহার করব তাদের সেটি পছন্দ হবে না।