গাড়ি চুরি লক্ষ্য করে পরিচালিত সাত সপ্তাহের অভিযানে ৫৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে ইয়র্ক রিজিয়নাল পুলিশ। সেই সঙ্গে চুরি যাওয়া ৮০টি গাড়িও উদ্ধার করেছে তারা, যার মূল্য ৫০ লাখ ডলারের বেশি।
দক্ষিণ ইয়র্ক রিজিয়নকে লক্ষ্য করে অপারেশন অটো গার্ড নামে পরিচিত এই অভিযান গত সেপ্টেম্বরে শুরু হয়। তদন্তের অংশ হিসেবে কর্মকর্তারা গ্রেপ্তারকৃত ৫৬ জনের বিরুদ্ধে ২৮৪টি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, একই সঙ্গে তারা গাড়ি চুরির বিপুল সরঞ্জামও উদ্ধার করেছে। তার মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেটিক ট্র্যাকার, ভেহিকল রিপ্রোগ্রামার, সিগন্যাল ও রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি জ্যামার এবং মাস্টার কি ফব।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে এই অঞ্চলে গাড়ি চুরি ২০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। চলতি বছর ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইয়র্ক রিজিয়ন থেকে খোয়া গেছে ৪ হাজার ২৯৪টি গাড়ি। ২০২২ সালের একই সময়ে এই অঞ্চল থেকে চুরি গিয়েছিল ৩ হাজার ১৮৭টি গাড়ি।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, গাড়ি চোর চক্রের লক্ষ্যবস্তুর শীর্ষে রয়েছে ভন, মারখাম ও রিচমন্ড হিল। চোরদের কেউ কেউ দিনের বেলা নেবারহুডগুলো চষে বেড়ায় এবং তারপর গাড়ি চুরির জন্য মধ্যরাতে সদস্যদের পাঠায়। সাধারণত রাত ২টা থেকে ৫টার মধ্যে চুরির ঘটনা ঘটে।
পুলিশ এরিয়াল নাইট ভিশনের ফুটেজ প্রকাশ করেছে। তাতে কর্মকর্তাদের সেপ্টেম্বরের শেষ রাতের এক অভিযানে কুইবেকের একটি চোর চক্রকে প্রতিহত করতে দেখা যায়। ভিডিওর বিষয়টি ব্যাখ্যা করে এক কর্মকর্তা বলেন, তারা এক রাতে একাধিক গাড়ি চুরি করে। এরপর গাড়িগুলো অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয় অথবা কুইবেক প্রদেশে নিয়ে আসা হয়। সেখানে এগুলো কনটেইনারে ভরে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের বাধা পেয়ে অন্তত একজন চোরকে পালানোর চেষ্টা করতে দেখা যায় ভিডিওতে।
কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করাও ছিল এই অভিযানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ বলেছে, মালিকদের নামে চুরির উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা গাড়ি নিবন্ধিত এমন রেড জোনের এলাকা আমরা চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছি। এটা আমাদের বাড়ির মালিকের কাছে সরাসরি যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। তাদেরকে আমরা জানিয়েছি যে, তাদের গাড়ি চুরির ঝুঁকিতে রয়েছে। তাদেরকে আমরা সুরক্ষা পরামর্শ দিয়েছি। সেই সঙ্গে অপরাধ প্রতিরোধে সরসারি ভূমিকা রাখার প্রস্তাব দিয়েছি।