রেইনবো ব্রিজে ২২ নভেম্বর একটি কার বিস্ফোরিত হওয়ার আগের মুহূর্তের ভিডিও প্রকাশ করেছেন মার্কিন সীমান্ত কর্মকর্তারা। ভিডিওতে দ্রুত গতির একটি কার উড়ে এসে একটি বুথের মধ্যে বিস্ফোরিত হতে দেখা যায়।
এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন (সিবিপি) ভিডিওটি তাদের সামাজিক যোগাযোগ অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে। ওই ঘটনায় গাড়িতে থাকা দুই ব্যক্তি নিহত হন এবং একজন সীমান্ত কর্মকর্তা সামান্য আহত হন।
ফুটেজে সীমান্ত বুথগুলোর কয়েক মিটার দূরে সাদা রঙের একটি কার দ্রুতগতিতে আসতে দেখা যায়। কারটি এরপর একটি মিডিয়ানে আঘাত করে এবং বাতাসে ভাসতে থাকে। বিস্ফোরিত হওয়ার আগে কারটি বাতাসে মোচড় খায়।
এরপর কার এবং বুথ বিস্ফোরিত হয় এবং আগুন ধরে যায়। নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হচুল ২২ নভেম্বর বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে ভিডিওটিকে পরাবাস্তব বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আপনি এটি দেখলে মনে হবে এটা কি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি। কারণ, কারটি এতটাই বাতাসে ভেসেছিল যে, এটাকে পরাবাস্তব বলেই মনে হবে। এরপর এটি বিস্ফোরিত হয় এবং আগুন ধরে যায়। ভিডিওটি দেখে আপনার বিশ^াস হবে না যে, কারটি এতটা উপরে ওঠে কীভাবে। আট ফুটের বেশি উঁচুতে। এটা অস্বাভাবিক।
ঘটনার পর আরেকটি ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। তাতে ক্রসিংয়ে কারটিকে পুড়তে দেখা যায়। কারটি থেকে বিপুল পরিমাণ কালো ধোয়া বেরোচ্ছিল। ভিডিও ধারণকারী ব্যক্তিকে এ সময় বলতে শোনা যায়, এ ধরনের ঘটনা আমি জীবনে কখনো দেখিনি। কারটি বিস্ফোরিত হলো।
হচুল বলেন, ঘটনার সময় যে প্রমাণ পাওয়া গেছে তার ভিত্তিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ ব্যাপারে আমাকে অবহিত করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকা-ের কোনো যোগ পাওয়া যায়নি।
তাহলে দুর্ঘটনার কারণ কী? জানতে চাইলে হচুল বলেন, চালক ইচ্ছাকৃতভাবেই ওভাবে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন কিনা আমাদের জানা নেই। আমরা সেটা জানি না। গাড়িটি কোথা থেকে এসেছে সেটাও এখনো পরিস্কার নয়। গাড়িতে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ওয়েস্টার্ন নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানাননি তিনি।