উচ্চাকাক্সিক্ষ এক সাশ্রয়ী আবাসন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে টরন্টো সিটি কাউন্সিল। পরিকল্পনার আওতায় ২০৩০ সালের মধ্যে ভাড়ানিয়ন্ত্রিত ৬৫ হাজার বাড়ি নির্মাণ করা হবে। তবে এতে এখনো কয়েক শ ডলারের তহবিল ঘাটতি রয়েছে।
গত ৮ নভেম্বর কাউন্সিলর ফ্লোরে মেয়র অলিভিয়া চাউ জোর দিয়ে বলেন, লোকজনকে আশ্রয়নকেন্দ্রে আশ্রয় দেওয়ার চেয়ে তাদের জন্য বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া কম খরচের।
চাউ ৩ হাজার ১০০ কোটি ডলারের সরকারি জমি উন্মুক্ত করে দেওয়া ও সাশ্রয় বাড়ির লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানোর কথা বলেন। এই লক্ষ্যমাত্রায় সিটি অলাভজনক ও অন্য স্তরের সরকারের পাশাপাশি পাবলিক বিল্ডার হিসেবে কাজ করবে।
ডেপুটি মেয়র আসমা মালিক বলেন, নিরাপদ ও সুরক্ষিত আবাসনের সুযোগ না পাওয়ার অক্ষমতা আমাদের কমিউনিটিকে ভোগান্তিতে ফেলে দিচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানে সিটি কর্তৃপক্ষের ক্ষমতার মধ্যে থেকে দায়িত্ব পালনে এগিয়ে এসেছে। আজ আমরা সেটাই করেছি।
পরিকল্পনার আওতায় ৪১ হাজার সাশ্রয়ী ভাড়া বাড়ি, সাড়ে ৬ হাজার রেন্ট-গিয়ারড-টু-ইনকাম হোম এবং সাড়ে ১৭ হাজার ভাড়ানিয়ন্ত্রিত বাড়ি আগামী সাত বছরের মধ্যে নির্মাণ করা হবে। তবে বেসরকারি খাতের মধ্যে দিয়ে এটা সম্ভব নয় বলে কিছু কাউন্সিলর যুক্তি তুলে ধরেন।
কাউন্সিলর ডায়েনে স্যাক্স বলেন, এমন কোনো যাদুকর ইউনিকর্ন নেই যারা বাড়ি সরবরাহের জন্য এগিয়ে আসবে।
মেয়র উপনির্বাচনে অলিভিয়া চাউয়ের প্রদ্বিন্দ্বী ছিলেন কাউন্সিলর ব্র্যাড ব্যাডফোর্ড। পাবলিক বিল্ডার হিসেবে সিটির সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, এই ধারণা কি সরকারের জন্য সহজ, দ্রুততর এবং কম ব্যয়বহুল হবে? আমার ধারণা, এখানকার কেউই সে কথা বলবেন না।
কাউন্সিলর পলা ফ্লেচার বলেন, আবাসনের প্রশ্নে আমরা ঝুঁকিবিমুখ হয়ে থাকতে পারি না। এই শহরের বহু মানুষের সাশ্রয়ী আবাসনের প্রয়োজন।
এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য অটোয়া ও কুইন’স পার্ক থেকে প্রতি বছর ৮০ কোটি ডলারের প্রয়োজন হবে। প্রদেশ টরন্টোর সঙ্গে নতুন একটি আর্থিক চুক্তির ব্যাপারে রাজি হয়েছে। গত সপ্তাহে ফেডারেল সরকারও এ সংক্রান্ত আলোচনার টেবিলে উপস্থিত হওয়ার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছে।
চাউ বলেন, বল এখন ফেডারেল সরকারের কোর্টে। বেশ কিছু সময় ধরে বলটি সেখানেই আছে।