জেসন ক্যামলট ১৯৯৯ সালে তৎকালীন স্যার জর্জ উইলিয়ামস ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগে নতুন বসের সঙ্গে আলাপ করছিলেন। সেই সময় বিভাগের প্রধান কার্যালয়ের এক কোণায় ৮০টি রিল-টু-রিল টেপভর্তি ধূলোর আস্তরণপড়া একটি কাঠের বাক্স তার নজরে পড়ে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তাকে বলা হয়, এটা ৬০ ও ৭০-এর দশকের কিছু কবিতা আবৃত্তির রেকর্ড, যা কেউে কখনো শোনেনি।
ধূলোমাখা সেই বাক্সের কথা কখনোই তিনি ভোলেননি। সাত বছর আগে পুরোনো একটি রিল-টু-রিল মেশিন খুঁজে পেয়ে রেকর্ডগুলো শুনতে শুরু করেন তিনি।
ক্যামলট বলেন, এটা দারুণ এক রিডিং সিরিজ। উত্তর আমেরিকার বিখ্যাত সব কবিতা এখানে আছে। সবগুলোই চমৎকার শব্দ সংযোগে রেকর্ডিং করা।
পরবর্তীতে আরও অনেক বিশ^বিদ্যালয় একই ধরনের ধূলোমাখা বাক্সের সন্ধান পেতে থাকে। ক্যামলটের আবিস্কার এখন স্পোকেনওয়েবে স্থান পাচ্ছে। সেখানে মার্গারেট অ্যাটউড যেমন রয়েছে, একইভাবে আছে ডব্লিউ.ও. মিচেল, ম্যাভিস গ্যালান্ট, রুডি উইব, মাইকেল ওন্ডাটজি, পুরডি এবং আরভিন লেটন।
বর্তমানে কনকর্ডিয়া ইউনিভার্সিটি হিসেবে পরিচিত স্যার জর্জ উইলিয়ামস ইউনিভার্সিটি থেকে পাওয়া বাক্সে ৬০টি ভিন্ন ভিন্ন কবিতা রয়েছে। তাদের মধ্যে অ্যালান গিন্সবার্গ ও হোর্হে লুইস বোর্হেসের মতো আন্তর্জাতিক সাহিত্যিকও রয়েছেন।
ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টার ইংলিস অ্যান্ড ফিল্ম স্টাডিজের অধ্যাপক মাইকেল ও’ড্রিসকল বলেন, বিপুল এই সাহিত্য সম্পদের তত্ত্বাবধায়ক হতে পারাটা বিরাট সুযোগ। স্পোকেনওয়েবেও কাজ করছে তিনি।
প্রকল্পটিতে রয়েছে ১৪টি সংগ্রহ, ১৩টি ইনস্টিটিউশন, সাতটি অংশীজন ইনস্টিটিউট, পাঁচটি কমিউনিটি অংশীদার এবং ৫০ জনের বেশি গবেষক। এটি ৭ হাজার ঘণ্টার পারফরম্যান্স সম্পন্ন করেছে। প্রত্যেকটি সংগ্রহেরই রয়েছে নিজস্ব গল্প।