সার্ভিস কানাডার এক ভূয়া কর্মীর বিরুদ্ধে অন্যদের সতর্ক করে দিয়েছেন অন্টারিওর এক নারী। ভূয়া ওই কর্মী ওই নারীর ব্যাংক হিসাব থেকে ৫০ হাজার ডলার খালি করতে রাজি করিয়েছিল।
অন্টারিওর রেনফ্রিউয়ের বাসিন্দা অ্যানি গল্ট সিটিভি নিউজ টরন্টোকে ২১ সেপ্টেম্বর বলেন, সার্ভিস কানাডার কর্মী পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তির কাছ থেকে গত আগস্টে হঠাৎ একটি ফোন পান তিনি। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে ওই ব্যক্তি বলেন, আমার সোশ্যাল ইন্স্যুরেন্স নাম্বার চুরি হয়ে গেছে এবং এটা দিয়ে কেউ একজন অবৈধ কার্যক্রম চালাচ্ছে।
সোশ্যাল ইন্স্যুরেন্স নাম্বার (এসআইএন) হচ্ছে সরকারের দেওয়া পরিচিতি, যা চাকরি ও সরকারি কোনো প্রবেশের সুবিধা পেতে প্রয়োজন হয়। এটা খুবই গোপন রাখতে হয় এবং দুর্বৃত্তরা এতে প্রবেশ করতে পারলে তারা আপনার পরিচিতি চুরি করতে সক্ষম। একই সঙ্গে তারা আপনার ব্যাংক হিসাবেও প্রবেশ করতে পারে।
এ বছরের গোড়ার দিকে গল্টের এসআইএনসহ ব্যক্তিগত তথ্য সাইবার হামলার শিকার হয়েছিল। এ কারণেই সার্ভিস কানাডার কর্মী পরিচয় দিয়ে ফোন করায় তিনি বিশ্বাস করেছিলেন। তার এসআইএন চুরি যাওয়ার বিষয়টিও প্রথমে বিশ্বাস করেছিলেন তিনি।
গল্ট বলেন, এটাই পুরো বিষয়টিকে আমার কাছে এতটা বিশ^াসযোগ্য করে তুলেছিল। ফোনদাতা ব্যক্তি আমাকে অন্টারিওর প্রভিন্সিয়াল পুলিশের (ওপিপি) সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। কথা বলার সময় তার কল ডিসপ্লেতে ওপিপির একটি নাম্বারও দেখাচ্ছিল। যদিও সেটি জাল ছিল বলে পরবর্তীতে মনে হয় তার।
প্রথম কয়েক সপ্তাহ গল্টের কাছে মনে হয়েছিল তিনি বোধহয় ওপিপিকে তার চুরি যাওয়া পিন তদন্তে সহায়তা করছেন। সেই সঙ্গে তার ব্যাংক খালি করার পরামর্শও অনুসরণ করেন তিনি। সেখান থেকে একটি বিটকয়েন মেশিন অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ওই অর্থ জমা করেন, যেটা নিরাপদ বলে তাকে জানানো হয়েছিল। এর মধ্যেই তিনি বুঝতে পারেন যে, তিনি প্রতারকের খপ্পরে পড়েছেন। কিন্তু ততক্ষণে ৫০ হাজার ডলার পাঠানো হয়ে গেছে।
গল্ট বলেন, সব মিলিয়ে আমি ৫০ হাজার ডলারের কিছু উত্তোলন করেছিলাম। সেটা ছিল আমার সেফটি নেট এবং এখন সেটা আর নেই। যা কিছু ঘটেছে সেজন্য আমি বিব্রত। কিন্তু ঘটনাটি আমি অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে চাই।