তিন বছর আগে পুলিশের গুলিতে নিহত মিসিসোগার এক ব্যক্তির পরিবার ২০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে বাহিনীটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। মামলায় দাবি করা হয়েছে, কর্মকর্তারা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সংক্রান্ত সহায়তাকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কৌশলগত অভিযানে পরিণত করেন, যার ফলে চার সন্তানের ওই পিতার মৃত্যু হয়।
প্রয়াত ইজাজ চৌধুরীর স্ত্রী রিনা আহমেদ পিল রিজিয়নাল পুলিশের প্রধান নিশান দুরাইপ্পাহ এবং ঘটনাস্থলে যাওয়া অজ্ঞাত পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন। তার অভিযোগ, কর্মকর্তাদের আচরণ ছিল স্বেচ্ছাচারমূলক এবং পুরোপুরি অন্যায্য।
চার সন্তানের পিতা ইজাজ চৌধুরী মিসিসোগার গোরওয়ে এবং মর্নিং স্টার ড্রাইভস এলাকায় তার অ্যাপার্টমেন্টের মধ্যে পিল পুলিশ কর্মকর্তাদের গুলিতে গুরুতর আহত হন। তার বয়স ছিল ৬২ বছর।
সিজোফিনিয়ায় আক্রান্ত ইজাজ চৌধুরী মনিংস্টার ড্রাইভে তার অ্যাপার্টমেন্টে থাকাকালে ২০২০ সালের ২০ জুন বিকাল ৫টার পরে তা মেয়ে প্যারমেডিকের সহায়তা চান। কারণ, তার বাবা তখন ওষুধ সেবন করছিলেন না এবং ঝুঁকিতে ছিলেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পিল পুলিশের কর্মকর্তারা চৌধুরীকে সরিয়ে আনার একাধিক চেষ্টা করলেও তাতে কোনো কাজ হয় না। পুলিশ কর্মকর্তাদের ধারণা ছিল, তার কাছে ছুরি আছে। এক পর্যায়ে পুলিশ কর্মকর্তারা টেজার, তিন রাউন্ড নন-লিথাল গুলি ছোড়েন। এরপর দুই রাউডন্ড হ্যান্গানের গুলি ছোড়া হয়। এটি চৌধুরির বুকে বিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরও চৌধুরী তার হাতে থাকা ছুরিটি ফেলেননি। এরপর কর্মকর্তারা আরও দুটি প্লাস্টিক প্রোজেক্টাইল ছোড়েন। রাত ৮টা ৩৮ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলেই মারা যান ইজাজ চৌধুরী।
এ ঘটনায় রিনা আহমেদ, তার কন্যা ও তিন সন্তানের পক্ষ থেকে ২০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে ২০২২ সালের জুনে মামলা দায়ের করেন।