অন্টারিওতে গাড়ি চুরি ও অবৈধ গাড়ি বিক্রি বেড়ে গেছে। গাড়ি শিল্পকে এখনো গাড়ির স্বল্প মজুদ ও সরবরাহ ব্যবস্থার সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। প্রদেশের কার বিক্রি নিয়ন্ত্রক সংস্থার তথ্যে এমনটাই উঠে এসেছে।
টরন্টো পুলিশ সদরদপ্তরে বৃহস্পতিবার অন্টারিও মোটর ভেহিকল ইন্ডাস্ট্রি কাউন্সিল (ওএমভিআইসি), ক্রাইম স্টপারস ও টরন্টো পুলিশ সার্ভিস গ্রেটার টরন্টো এরিয়াতে অবৈধ গাড়ি বিক্রি বন্ধে অপরাধ প্রতিরোধের প্রচারণা শুরু করেছে। ওএমভিআইসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও রেজিস্ট্রার মাউরিন হারকুয়াইল সাংবাদিকদের বলেন, এই অংশীদারিত্বের উদ্দেশ্য অন্টারিওতে অবৈধ গাড়ি বিক্রির ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করা। সেই সঙ্গে আমরা যে কমিউনিটিতে বাস করি সেই কমিউনিটির সুরক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের অংশ হিসেবে কীভাবে আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারি সেটাও এর আরেকটি উদ্দেশ্য।
হারকুয়াইল বলেন, কার্বসাইডারদের প্রতিরোধে পুলিশ ও ওএমভিআইসি কাজ করছে। ব্যক্তিগত বিক্রেতা সেজে যারা অবৈধভাবে গাড়ি বিক্রি করে থাকে তাদেরকে কার্বসাইডার বলা হয়ে থাকে। কার্বসাইডাররা নিজেদের ব্যক্তিগত গাড়ি বিক্রির অভিনয় করে। কিন্তু বাস্তবে সনদ ও নিবন্ধন ছাড়াই তারা বহু গাড়ি ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে। এমন কিছু গাড়ি কার্বসাইডারদের কাছে থাকে যেগুলো চুরি করা।
তিনি বলেন, কার্বসাইডাররা বেশিরভাগ সময়ই তারা যে গাড়িটি বিক্রি করছে সেটার ভূয়া মালিক হিসেবে নিজেদের দাবি করে থাকে। এর ফলে ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হন। গাড়ির সরবরাহ কম থাকার সুযোগে কার্বসাইডিং সমস্যা এখন বাড়তে শুরু করেছে। গাড়ির উচ্চ মূল্য ও সরবরাহ ব্যবস্থাপর অব্যাহত সমস্যা এতে ইন্ধন জোগাচ্ছে।
অন্টারিও মোটর ভেহিকল ডিলারস অ্যাক্ট বাস্তবায়ন করে থাকে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ওএমভিআইসি। তাদের হিসাবে, মালিক সেজে অনলাইনে যত সংখ্যক গাড়ি বিক্রির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয় তার কমপক্ষে ৩০ শতাংশ কার্বসাইডাররা পোস্ট করে থাকে।
হারকুয়াইল বলেন, প্রাদেশিক অপরাধ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ওএমভিআইসি তদন্ত দলের সদস্যরা ২০২২ সালে ২ হাজার ১১৫টি অভিযোগ দায়ের করেন। সংখ্যাটি ২০২১ সালের দ্বিগুন। এর মধ্যে এক হাজারের বেশি অভিযোগ করা হয়েছিল কার্বসাইডারদের বিরুদ্ধে।