অন্টারিওতে কালো পায়ের টিকের (এক ধরনের পরজীবী) মাধ্যমে ছড়ানো এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট অ্যানাপ্লাজমোসিস রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। লাইম রোগ ছড়ানোর জন্যও দায়ী এই টিক।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলরের তথ্য অনুযায়ী, এই রোগে আক্রান্তদের ১ শতাংশের ক্ষেত্রে গুরুতর অসুস্থতা দেখা দেয়। ৬০ বছরের বেশি বয়সীরা দ্রুত চিকিতসা না পেলে তাদের অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপের দিকে যায়। ডক্সিসাইক্লিনের সাহায্যে রোগটির চিকিতসা করা যায়। একই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হয় লাইমের চিকিতসায়ও। লাইমের চেয়ে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা কম দেখা যায়। তবে কিংসটনের চিকিতসকরা এ বছর রোগটির বড় ধরনের উল্লম্ফন দেখতে পাচ্ছেন। টিকের কামড় থেকে সুরক্ষিত থাকার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
লাইম রোগের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া বোরেলিয়া বার্গডরফেরি বহনকারী টিকের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম শীতে বেড়ে যায়। একই কারণে বাড়ছে অ্যানাপ্লাজমোসিস রোগের প্রাদুর্ভাবও। অ্যানাপ্লাজমা ফ্যাগোসাইটোফিলাম ব্যাকটেরিয়া বহনকারী টিক কোনো মানুষ বা প্রাণিকে কামড় দিলেই কেবল রোগটি দেখা দেয়। তবে অন্টারিওতে এখন পর্যন্ত রোগটির কথা শোনা যায়নি।
কুইন্স ইউনিভার্সিটি ও কিংসন্টন হেলথ সায়েন্স সেন্টারের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. জেরাল্ড ইভান্সসহ অন্য গবেষকরা ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো অন্টারিওতে কালো পায়ের টিকের কারণে অ্যানাপ্লাজমোসিস রোগ সনাক্ত করেন। যুক্তরাষ্ট্রে রোগটি প্রথম সনাক্ত হয় ১৯৯৪ সালে মিনেসোটা ও উইসদকন্সিনে। অন্টারিওতে রোগটি প্রথমবারের মতো সনাক্ত হওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণকারীদের মধ্যেই কেবল রোগটি দেখতে পেতেন চিকিৎসকরা। কিন্তু চলতি বছর সেটি বদলে গেছে। অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় এ বছর অ্যানাপ্লাজমোসিস রোগ বেশি সনাক্ত করছেন চিকিৎসকরা। যদিও জনগণ ভ্রমণ না করে বাড়িতেই থাকছেন। এ থেকে অনুমান করতে অসুবিধা হয় না যে, বাড়ির কাছেই টিকের দংশনের শিকার হয়েছেন আক্রান্তরা।
ইভান্স বলেন, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। আগের বছরের চেয়ে আমি ও আমার সহকর্মীরা রোগটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বে শ দেখতে পাচ্ছি। লাইম রোগের বাহক টিকের অন্যতম হটস্পট হচ্ছে কিংসটন। এটাই একমাত্র বছর যে বছরে তুলনামূলক অনেক কম সময়ে অ্যানাপ্লাজমোসিসে আক্রান্ত একাধিক ব্যক্তির কথা আমরা স্মরণ করতে পারি।