কানাডায় বিদেশি হস্তক্ষেপের শীর্ষ উৎসগুলোর মধ্যে ভারত অন্যতম বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জোডি থমাস। তিনি বলেন, বিদেশি হস্তক্ষেপ ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার কথা বলতে গেলে আমাকে বেশ কিছু দেশের কথা বলতে হবে। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে রাশিয়া, ইরান ও ভারত এবং অতি অবশ্যই চীন।
ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের অংশ হিসেবে লিবারেলরা ভারতকে গুরুত্ব দেওয়ার কয়েক মাসের ব্যবধানে এই মন্তব্য করলেন তিনি। দেশটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক ও বৈজ্ঞানিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ওপরও জোর দিচ্ছে অটোয়া।
অটোয়াতে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের কাছে এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে চাইলে কোনো সাড়া দেননি তিনি।
বিভিন্ন সময় কানাডার কিছু পক্ষ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে বলে যুক্তি তুলে ধরেছে দিল্লি। কিছু শিখ ধর্মাবলম্বীর নেতৃত্বে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের কথা এক্ষেত্রে উল্লেখ করে দেশটি। ১৯৮৫ সালে টরন্টো থেকে নয়া দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে বোমা হামলার কথা এক্ষেত্রে উল্লেখ করা যায়।
ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার অধ্যাপক বীণা নাজিবুল্লাহ বলেন, অন্য তিনটি দেশের সঙ্গে ভারতকে তালিকাভুক্ত করা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই উদ্বেগ ভারতের সঙ্গে কানাডার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরিতে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক দ্রুত উন্নত হচ্ছে। কিন্তু আমরা যদি কানাডায় ডায়াসপোরার রাজনীতি ও কিছু স্থানীয় ইস্যুকে স্বীকৃতি না দিই তাহলে সেটা শিশুসুলভ হবে বলে আমি মনে করি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কানাডায় ভারতের অন্যায় প্রভাব বিস্তারের ব্যাপারে ফেডারেল সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে। তবে নাম উল্লেখ করা হয়েছে কদাচিৎ এবং সেগুলো সবসময়ই গোপন নথিতে রয়ে গেছে। তথ্য অধিকার আইনের আওতায় গত বছর প্রাপ্ত নথিতে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিদেশি হস্তক্ষেপের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করা হয়। শিক্ষার অনুমতির জন্য অনুদান দিতে কানাডার ধীরগতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তারা। শিক্ষার্থীদের এই ক্যাম্পেইনের ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সক্রিয় অনুষঙ্গ হিসেবে কাজ করছে।