
টরন্টোর আসন্ন মেয়র নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা যে চেহারা পেয়েছে অনেকের কাছেই তা পরিচিত। একজন কনজার্ভেটিভ মেয়র পদ ছেড়েছেন এবং তার উত্তরসূরী নির্বাচন অনেকটাই উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে। প্রার্থীরা নগরীর মেরামত না হওয়া নিয়ে বিলাপ করছেন। একই সঙ্গে ওয়াটারফ্রন্টের ভবিষ্যৎ নিয়েও বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন।
সিটি হলের দিকে নজর রাখা ব্যক্তিরা বলছেন, এটা অনেকটা ২০০৩ সালের মতো, যখন ১৯৯৮ সালের পর টরন্টো প্রথমবারের মতো এবং একমাত্র সেন্টার-লেফট মেয়র নির্বাচিত করেছিল।
ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক জ্যাক টেইলর বলেন, ২০১০ সালে ডেভিড মিলার দায়িত্ব ছাড়ার পর থেকে প্রগতিশীল কোনো প্রার্থীর জন্যই মেয়র নির্বাচিত হওয়ার মতো সুযোগ তৈরি হয়নি। বর্তমানে যেসব প্রগতিশীল প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা মিলারের সফল প্রচারণা থেকে শিক্ষা নিতে পারেন।
মিলার নিজেও এর প্রতিধ্বনি শুনছেন বলে দ্য কানাডিয়ান প্রেসকে বলেছেন। মিলার তার ২০০৩ সালের নির্বাচনী প্রচারণা সম্পর্কে বলেন, সে সময় এটা মনে হয়েছিল যে, সিটি কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের অগ্রাধিকারগুলোতে বিনিয়োগ করছে না। বর্তমান অবস্থাও তার সমান্তরাল বলে আমি মনে করি। অনেক সেবাই আমরা নি¤œগামী হতে দেখছি।
মিলারের মেয়াদ কনজার্ভেটিভদের ১৮ বছরের মেয়রের দায়িত্বে ছেদ এনে দেয়। কনজার্ভেটিভদের এই মেয়াদ তার পূর্বসূরী মেল লাস্টম্যানকে দিয়ে শুরু হয় এবং তা রব ফোর্ড ও জন টরি পর্যন্ত জারি থাকে। জন টরি গত ফেব্রুয়ারিতে পদত্যাগের আগে ২০২২ সালের অক্টোবরে তৃতীয় মেয়াদে টরন্টোর মেয়র নির্বাচিত হন।
জন টরি যে জনপ্রিয় ছিলেন এটা প্রমাণিত। ২৬ জুন অনুষ্ঠেয় ভোটের আগে পরিচালিত কিছু সমীক্ষা তাকেই সবচেয়ে এগিয়ে রেখেছে। যদিও শুক্রবার মনোনয়নের শেষ দিন পর্যন্ত যে ১০২ জন প্রার্থী মাঠে নেমেছেন সেখানে তার নামটি নেই। এই নির্বাচনে সাবেক ফেডারেল আইনপ্রণেতা ও বামপন্থী নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির দীর্ঘদিনের সদস্য অলিভিয়া চো সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। প্রগতিশীল বামপন্থী হিসেবে খ্যাতি আছে কাউন্সিলর জশ ম্যাটলোরও। সেন্টার লেফটপন্থীদের ভোটের জন্য আরও যারা মাঠে নেমেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ডেপুটি মেয়র আনা বাইলাও, সাবেক প্রাদেশিক শিক্ষামন্ত্রী মিটজি হান্টার ও কাউন্সিলর অ্যান্থনি পেরুজ্জা।