
টরন্টোর আসন্ন মেয়র নির্বাচনে শুক্রবার ছিল বিশেষ দিন। মনোনয়নপত্র জমা এদিন শেষ হয়েছে এবং নগরীর মেয়র পদে রেকর্ড ১০২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাই ভোটের যে কয়েক সপ্তাহ বাকি আছে সেখানে যে যথেষ্ট বিতর্ক হবে এটা নিশ্চিত।
গত সপ্তাহে মেয়র নির্বাচনের প্রচারণায় বাইক লেন ছিল সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু। নির্বাচিত হলে সড়কে নতুন বাইক লেন বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছেন মাইক সন্ডারস। এ ছাড়া ইউনিভার্সিটি অ্যাভিনিউয়ের বাইক লেন বাদ দিয়ে নতুন করে মতামতের ভিত্তিতে অন্য কোথাও এটি করার চিন্তা করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মাইক সন্ডারস বলেন, এর মানে আমি বাইক লেনের বিরুদ্ধে তেমন নয়। আমি বাইক লেনের বিরুদ্বে নয়। তবে আগে থেকেই যানজটে বিপর্যস্ত প্রধান সড়কগুলোতে এটি করার পক্ষে আমি নই। বাইক লেন সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য অবশ্যই অর্থবহ হতে হবে।
কয়েক সপ্তাহ আগে একই ভাষায় কথা বলেছেন অ্যান্থনি ফারে। তিনিও বাইক লেন বাতিলের পক্ষে।
এই ধারণাকে নির্বুদ্ধিতা বলে মন্তব্য করেন জশ ম্যাটলো। সন্ডারসের বক্তব্যের ব্যাপারে তিনি বলেন, তিনি ভুল। আমরা যখন গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হই তখন আমরা ট্রাফিকের অংশ হয়ে যায়। যত বেশি সংখ্যক মানুষ বাইকে চলাচল করবেন তার অর্থ দাঁড়াবে আমাদের সামনে গাড়িতে কম লোক থাকবে।
সাইকেল টরন্টোর অ্যালিসন স্টুয়ার্ট সিপি২৪কে বলেন, সবাই সমস্যায় আছে। সুতরাং সড়ক ব্যবহারকারীদের কেউই সর্বোচ্চ সেবাটি পাচ্ছেন না। এর কারণ হলো আমাদের সড়কগুলোতে একজন চলাচলকারী ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা অনেক বেশি। বাইকে ও পায়ে হেঁটে যাতায়াতকে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।
সিটি কর্মকর্তাদের সংকলিত উপাত্ত অনুযায়ী, ২০২০ সালে ব্লুর স্ট্রিট ইস্ট, ডানডাস স্ট্রিট ইস্ট, ইউনিভার্সিটি অ্যাভিনিউ, ড্যানফোর্থ অ্যাভিনিউ, বেভিউ অ্যাভিনিউ, উইলমিঙ্গটন অ্যাভিনিউ ও হান্টিঙ্গউড ড্রাইভে বাইক লেন স্থাপনের ওই এলাকার মটরিস্টদের পিক টাইমের ওপর সামান্যই প্রভাব ফেলেছে। ভ্রমণ সময় সবচেয়ে বেশি বেড়েছিল ব্লুর স্ট্রিট ইস্ট, ডানডাস স্ট্রিট ইস্ট ও ড্যানফোর্থ অ্যাভিনিউয়ে।
এদিকে ওইসব করিডোর শত শত সাইক্লিস্ট ব্যবহার করছেন। ইউনিভার্সিটি অ্যাভিনিউয়ে সাইক্লিস্টের সংখ্যা ২০২১ সালে বেড়ে দাঁড়ায় দৈনিক ১ হাজার ৮০ জনে। বাইক লেন চালুর আগে এ সংখ্যা ছিল ৫৩০। ড্যানফোর্থ অ্যাভিনিউয়ে সাইক্লিস্টের সংখ্যা প্রায় ৬৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দৈনিক ১ হাজার ১০০তে।