
ব্যাংক অব কানাডা মূল্যস্ফীতির হার ২ মতাংশে নামিয়ে আনার আশা করলেও শ্রমবাজারে শ্লথগতির কোনো ইঙ্গিত চোখে পড়ছে না। এ অবস্থায় ব্যাংক অব কানাডা আবারও সুদের হার বৃদ্ধিতে বাধ্য হতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ বলছে, এপ্রিলেও অর্থনীতিতে নতুন কর্মসংস্থান যোগ হয়েছে। অন্যদিকে মজুরি বৃদ্ধি মূল্যস্ফীতিকে ছাপিয়ে গেছে। এপ্রিলে কানাডায় নতুন করে কর্মসংস্থান হয়েছে ৪১ হাজার মানুষের। এর বেশিরভাগই খ-কালীন চাকরি।
অন্যদিকে বেকারত্বের হার টানা পাঁচ মাসের মতো ৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে। গত গ্রীষ্মে বেকারত্বের হার সর্বকালের সর্বনি¤œ ৪ দশমিক ৯ শতাংশে নেমেছিল। বর্তমান হারও তার কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে।
বিএমওর প্রধান অর্থনীতিবিদ ডগলাস পর্টার বলেন, শ্রমবাজারে নিস্তেজতার যে কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না সাম্প্রতিক কর্মসংস্থান প্রতিবেদন সেটাই বলছে। বসন্ত পর্যন্ত যদি এ অবস্থা বজায় থাকে তাহলে ব্যাংক অব কানাডা সুদের হার বৃদ্ধি স্থগিত রাখার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হতে পারে। বিশেষ করে আবাসন বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ব্যাংক অব কানাডা এ বছরের গোড়ার দিকে সুদের হার বৃদ্ধিতে বিরতি দেয়। মূল্যস্ফীতির হার কমতে থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেয় তারা। নীতিনির্ধারণী সুদের হার ৪ দশমিক ৫ শতাংশে অপরিবর্তিত থাকার কারণে ঋণের যে উচ্চ ব্যয় তার ফলে ব্যবসায়ীরা ব্যয়েংর রাশ টেনে ধরতে পারেন। প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন নিয়োগের বিষয়টিও পুনরায় বিবেচনা করে দেখতে পারেন।
কিন্তু এখন পর্যন্ত শ্রমবাজার শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। বিশেষ করে এ বছরের গোড়ার দিকে অর্থনীতি শ্লথ হলে পূর্বাভাসের পরও।
টিডির অর্থনীতি বিষয়ক পরিচালক জেমস অরলান্ডো বলেন, কর্মসংস্থান প্রতিবেদতনের বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে এটা দেখা যাচ্ছে যে, অর্থনীতিতে নতুন কর্মসংস্থান যোগ অব্যাহত রয়েছে। তবে তা কেবল খ-কালীন চাকরি। এ ছাড়া কানাডা অধিক হারে অভিবাসী স্বাগতক জানানোয় জনসংখ্যা বাড়ছে, যা কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। এ অবস্থায় অর্থনীতিতে ব্যাপকভিত্তিতে কর্মী নিয়োগ হবে না বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।